কৃষি কর্মকর্তাদের অবহেলায় কপাল পুড়লো; অভিযোগ কামারখন্দের কৃষকদের নিউজ ডেস্ক নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ১২:৫৯ অপরাহ্ণ, মে ৩, ২০১৯ আব্দুল্লাহ আল মারুফ সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ের উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তাদের দায়িত্ব অবহেলার কারণে কামারখন্দ উপজেলার প্রান্তিক চাষীরা তাদের প্রয়োজনীয় কৃষি সেবা না পাওয়ার কারণে তাদের ধানে ব্লাস্ট রোগের হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। গ্রামপর্যায়ে সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, সেবা প্রাপ্তি দূরে থাক বেশিরভাগ কৃষকই উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তাদের চেনেনা। তাদের সেবা পান না। আবার কিছু কৃষক সহকারী কৃষি অফিসারকে চিনলেও তাদের টেনে এনে সেবা নিতে হয়। ইচ্ছাকৃতভাবে তারা কৃষকদের সেবা দেন না। চাষী মোঃ নজরুল ইসলাম এর ৩ বিঘা জমি চাষ করেছেন এরমধ্যে দেড় বিঘা জমির ধান ব্লাস্ট রোগের কারণে সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। নজরুল বলেন, আমি কৃষি অফিসারের সাথে ধানের এই বিষয়ে কথা বলেছিলাম। তিনি আমাদের একটা তালিকা দিয়েছিলেন। তালিকা অনুযায়ী কাজ করার ফলেও ধানের ক্ষতি থেকে রক্ষা পাইনি। নজরুলের অভিযোগ, ‘আগে থেকেই যদি তারা মাঠে এসে দেখতো তাহলে এই ক্ষতিটা আর হতো না। তাদেরকে টেনে নিয়ে আসলে দেখে, দেখার পর ঔষধ লিখে দিয়ে চলে যায়। তারপর আর খবর থাকে না’। নষ্ট ধান হাতে নিয়ে দেখাচ্ছেন কৃষক নজরুলের ছেলে রুহুল আমিন দেন আরেক কৃষক মোঃ কালাচাদ মন্ডল আক্ষেপ করে বলেন, আমাদের দেখার কেউ নেই, আমাদের ক্ষেতের ধান নষ্ট হয়ে গেছে। তারপর কোনো কৃষি অফিসার দেখলো না জমিগুলো কী অবস্থা? আমরা কার কাছে যাবো। মনের দুঃখ কষ্ট নিয়েই পড়ে থাকি। ওয়াহাব আলী সরকার নামে এক কৃষক বলেন, ধানের অবস্থা দেখে ক্ষেত পুড়ে ফেলতে ইচ্ছে করে। ময়নুল হক নামে আরেক কৃষক জানান, ধানের অবস্থা ভালো না, ধানের সিজ মরে সাদা হয়ে গেছে। ভিতরে চাউল নাই, নিচে ধানের গাছ কালো দেখা যায় কিন্তু উপরের অংশ সাদা। কৃষকদের তথ্য অনুযায়ী এবার কামারখন্দ উপজেলার জয়েনবড়ধুল, হাটবড়ধুল, বিয়ারা, বাড়াকান্দি, গোপালপুর রসুলপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে ব্লাস্ট রোগে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৩০০-৩৫০বিঘা জমির ধান। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার সাদাত এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘ব্লাস্ট রোগের কারণে নষ্ট হয়নি। আপনি আসেন আপনাকে নিয়ে মাঠে যাবো কোনো জায়গায় নষ্ট হয়েছে দেখাবো’। তিনি বলেন, ‘কৃষি অফিসারদের চেনে না এসব বলে লাভ নাই। চেনে না এটা যদি হয়ে থাকে দূভার্গ্যক্রম। মাঠ পর্যায়ে যারা কৃষি কাজ করে তাদেরকে যেমন কৃষি অফিসারদেরকে চিনতে হবে ঠিক মাঠ পর্যায়ে অফিসারদেরকেও কৃষকদের চিনতে হবে’। /আরএ Comments SHARES বিশেষ প্রতিবেদন বিষয়: