হানিফের বক্তব্য দাম্ভিকতার বহিঃপ্রকাশ : গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

প্রকাশিত: ৩:২২ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৭, ২০১৮

ডেস্ক: ‘শেখ হাসিনা যত দিন সুস্থ আছেন, তত দিন ক্ষমতায় থাকবেন’—আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফের এ ধরনের বক্তব্য ‘দাম্ভিকতার বহিঃপ্রকাশ’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘ক্ষমতায় থাকা-না থাকাটা যেহেতু জনগণের ইচ্ছা-অনিচ্ছার একটা বিষয় আছে, সেখানে এ ধরনের দাম্ভিকতা, অহংবোধ থাকাটা ভালো না’।

আজ শুক্রবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে গয়েশ্বর রায় এসব কথা বলেন। খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে প্রচার ও সমন্বয়ের জন্য তিনি সেখানে অবস্থান করছেন। মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকার চেষ্টা করবেন’।

গত বুধবার রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সম্মেলনে মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, ‘শেখ হাসিনা যত দিন সুস্থ আছেন, তত দিন ক্ষমতায় থাকবে আওয়ামী লীগ। এই বাংলাদেশের কোনো অপশক্তির ক্ষমতা নেই, জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করে ক্ষমতা দখল করার।’

খুলনায় এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতা মাহবুব-উল-আলম হানিফ একটা কথা বলেছেন। তাঁর কথার গুরুত্ব আমি খুব কম দিই। তার পরেও তিনি যখন বলেছেন…। যতক্ষণ পর্যন্ত বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সুস্থ আছে যদি বলে, তাহলে আমি বলব, তিনি সুস্থ নাই। যদি কথা এভাবে ঘুরায়ে বলতেন, প্রধানমন্ত্রী যত দিন অসুস্থ, তত দিনই ক্ষমতায় থাকব। তাহলে কথাটার একটা অর্থ থাকে। কারণ রাজনীতিতে এ ধরনের অসুস্থ না হলে এ ধরনের বক্তব্য আসে না’।

‘আর যত দিন জীবিত আছেন, তত দিনই ক্ষমতায় থাকবেন—এটাই যদি হয় তাহলে বলব, এটা শব্দটা কিন্তু গণতান্ত্রিক শব্দের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। কথাটা যদি এভাবে হতো যে যত দিন জনগণ চায়, তত দিন ক্ষমতায় থাকবেন। তাহলে মনে হয় কথাটা মানুষের কাছে ভালো লাগত’।

বিএনপির নেতা আরো বলেন, ‘এখন দেশটার মালিক যদি জনগণ হয়, তাহলে আমার ক্ষমতায় থাকার ইচ্ছাটা যদি জনগণের ইচ্ছার বাইরে হয়, তাহলে আমি মনে করব, তারা সুস্থ না। তারা রাজনৈতিকভাবে অসুস্থ। অসুস্থ ভাবনাকে সম্বল করে এবং অসুস্থ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী বা চিরস্থায়ী করার চেষ্টা করতে পারে।’

‘জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে তাদের এই আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে… জনগণের ইচ্ছা পরিপন্থী হলে জনগণই কিন্তু সেখানে তার সিদ্ধান্ত নেয় তারা কী করবে?’, যোগ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির ও নেতা।

সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা, বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক ও সাতক্ষীরার তালা-কলারোয়ার উপজেলার সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিব, ডা. গাজী আবদুল হাদী, সাবেক সংসদ সদস্য শেখ মুজিবর রহমান প্রমুখ।

/এমএম

Comments