লক্ষ্মীপুরে এক প্রেম কেড়ে নিলো বাবা-ছেলের দু’টি প্রাণ : পড়ুন বাস্তব প্রেম কাহিনী

প্রকাশিত: ২:৪২ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৩, ২০১৮

মুহাম্মদ নোমান ছিদ্দীকী,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:নাম রাফসান (২৩), লক্ষ্মীপুর সরকারী কলেজের অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্র। লাহারকান্দী উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়া-লেখাকালীন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে সহপাঠী উপমার সাথে (ছদ্মনাম)।দীর্ঘ ৪/৫ বছর চলে ভালোবাসার মধুর সম্পর্ক ।

হঠাৎ রাফসান ও উপমার সাথে সম্পর্কের ফাটল দেখা দেয়, অভিমানি রাফসান আত্মহত্যার পথ বেঁচে নেয়। একপর্যায় রাফসান (১৬মার্চ) শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে গলায় ফাঁস দিয়ে চলে যায় পৃথিবী ছেড়ে। উপমা বাকরুদ্ধ হয়ে ভর্তি হয় ঢাকা মেডিকেলে ।

এদিকে ছেলের আকস্মিক মৃত্যুর খবরে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ে পিতা আব্দুল বাশার। ঠিক একসপ্তাহ পড়ে (২৩ মার্চ) শুক্রবার ভোররাতে বুকে ব্যাথা নিয়ে তিনিও চলে যান না ফেরার দেশে।

শুধু তাই নয় বাবা-ছেলের মৃত্যুর খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে ওই এলাকার ৪/৫ জন যুবক অসুস্থ্য হয়ে পড়ে।

বর্তমানে তারা লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীণ রয়েছেন। এদিকে দুই গ্রাম জুড়ে নেমে আসে শোকের ছায়া।

প্রিয় পাঠক এ কোন ছবির কাহিনী কিংবা গল্পের সারমর্ম নয়। ঘটনাটি ঘটেছে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নের সমসেরাবাদ গ্রামে।

স্থানীয়রা জানায়, এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাবা-ছেলের আকস্মিক মৃত্যুতে দু’গ্রামের মানুষ বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। এলাকা জুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। তবে এমন অনাকাঙ্খিত ঘটনায় হতাশা ব্যক্ত করেন অনেকেই।

একই এলাকার বাসিন্দা সাংবাদিক রুবেল হোসেন জানান, রাফসানের সাথে আমার সম্পর্ক এলাকার ছোট ভাই হিসেবে। রাফসানের পিতা আবুল বাশারকে কাকা বলে ডাকতাম। আবুল বাশারের মুল বাড়ি কমলনগর উপজেলায়, কয়েক বছর পূর্বে রাক্ষুসী মেঘনার বুকে তলিয়ে গেছে তাদের পূর্বপুরুষের বসত ঘর।

বর্তমানে তিনি জমি ক্রয় করে বাড়ি করেন আমার পাশ্ববর্তী সমসেরাবাদ গ্রামে। ৮/৯ বছরে তারা আবিরনগর ও সমসেরাবাদ গ্রামের মানুষের মনের মন্দিরে স্থান করে নিয়েছে।

বাবা-ছেলের আকস্মিক মৃত্যুতে এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ে গ্রামের কয়েকজন যুবক।

Comments