রমযানে যেকোনো পরিস্থিতি কঠোর হস্তে দমন করা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১২:৫২ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১৬, ২০১৮

ডেস্ক রিপোর্টার : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন আসন্ন রমজান মাসে নৈতিকতার সাথে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যবৃন্দ কোন ধরনের অনৈতিক কার্যক্রমকে প্রশয় দিবে না এবং এ ধরনের পরিস্থিতি কঠোর হস্তে দমন করা হবে।

রোববার এলাকাভিত্তিক ও বিশেষায়িত ব্যবসায়ী সমিতিগুলোর সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন৷ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। ডিসিসিআই ভবনে আয়োজিত সভায়  কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)-এর সভাপতি গোলাম রহমান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

পণ্য পরিবহনে পুলিশ ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের চাঁদাবাজি হচ্ছে। ঈদ উপলক্ষে রমজান মাসে নানা আয়োজনকে কেন্দ্র করে চাঁদাবাজি বৃদ্ধি পায়। বিভিন্ন স্থানে নানা ধরনের অবৈধ রসিদ ধরিয়ে চাঁদাবাজি হচ্ছে। এসব চাঁদাবাজি বন্ধ চান ব্যবসায়ীরা।

এব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, এ ধরনের অসাধু কার্যক্রমে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কোন সদস্য জড়িত থাকলে তাকেও কোন ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না। মাহসড়াকে যানজটের বিষয়ে তিনি গাড়ির চালকদেরকে নিয়ম মেনে গাড়ি চালানোর আহ্বান জানান এবং মাত্রারিক্তি পণ্য পরিবহনে বিরত থাকার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি আসন্ন রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখা এবং বিপণিবিতান সমূহে নিরাপত্তা বিধানে সরকারের পক্ষ থেকে সকল ধরনের উদ্যোগ গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন। রমজানে চাঁদাবাজি কঠোর হস্তে দমন করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

স্বাগত বক্তব্যে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি আবুল কাসেম খান বলেন, ২০১৭ সালের এপ্রিল থেকে মে মাসের ব্যবধানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম গড়ে ১৭.৫১% বৃদ্ধি পেয়েছিল এবং এই মূল্যবৃদ্ধির মূলে রয়েছে প্রথাগত বাজার সরবরাহ প্রক্রিয়া, অতিরিক্ত মজুদকরণের মাধ্যমে বাজারে পণ্যদ্রব্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি, অপর্যাপ্ত ও সমন্বয়হীন বাজার মনিটরিং। সেইসাথে পরিবহনখাতে চাঁদাবাজি, দুর্বিষহ যানজট এবং অতিরিক্ত পরিবহন ব্যয়ের ফলে নিত্য পন্যের দাম বেড়েছিল।

তিনি বলেন, ব্যাংক ঋণ পাওয়ার জটিলতা ও অপ্রয়োজনীয় সময়ক্ষেপণের ফলে এর চাপ শেষ পর্যন্ত গিয়ে উৎপাদন খরচের সাথে যোগ হয় এবং ভোক্তাকেই তা বহন করতে হয়। তিনি বলেন, পাশাপাশি রমাজানে ট্যারিফ কমিশন ও রাজস্ব বোর্ড এসব নির্দিষ্ট ভোগ্যপণ্যে ট্যারিফ ও শুল্ক হ্রাস করতে পারে এবং ব্যবসায়ীরা রমজানে পাইকারী পর্যায়ে বিক্রয় করার ক্ষেত্রে অন্যান্য মাসের তুলনায় সুলভমূল্যে বিক্রয় করতে পারবে।

/এসআর

Comments