যে ছয়টি আমলে প্রতি কদমে এক বছরের নফল নামাজ ও রোযার সওয়াব

প্রকাশিত: ১:০৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৩, ২০১৮

মুহাম্মদ বিন নূর

শুক্রবার পবিত্র জুম’আর দিন। জুম’আর দিনের রয়েছে বিশেষ ফজিলত। জুমা’আর দিনে সুরাহ কাহাফ তেলাওয়াতে রয়েছে বিশেষ মর্যাদা।

হাদিস শরীফে এসেছে রাসুল সা. বলেছেন, (হযরত আবু সাঈদ খুদরি রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত) যে ব্যক্তি জুমার দিন সূরা কাহাফ পাঠ করবে তার জন্য এক জুমা থেকে অপর জুমা পর্যন্ত নূর হবে।

হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন সূরা কাহাফ তিলাওয়াত করবে, সে আট দিন পর্যন্ত সর্বপ্রকার ফেৎনা থেকে মুক্ত থাকবে। যদি দাজ্জাল বের হয় তবে সে দাজ্জালের ফিৎনা থেকেও মুক্ত থাকবে।

অন্য রেওয়ায়েতে আছে এক জুমা থেকে অপর জুমা পর্যন্ত তার সব গুনাহ মাফ হয়ে যাবে।

তবে উল্লিখিত গুনাহ মাফ হওয়ার দ্বারা সগিরা গুনাহ উদ্দেশ্য। কারণ ওলামায়ে কেরামের সর্বসম্মত মতে কবিরা গুনাহ তওবাহ ছাড়া মাফ হয় না।

এছাড়াও জুম’আর দিন তথা শুক্রবারে শুধুমাত্র জুম’আর নামাজের উদ্দেশ্যে বের হওয়া থেকে শুরু করে নামাজ আদায় পর্যন্ত ছয়টি আমল রয়েছে।

যে ব্যক্তি জুম’আর দিনে ওই আমল করবে সে জুম’আর নামাযের যাওয়ার পথে প্রতি কদমের বিনিময়ে এক বছরের নফল নামাজ ও এক বছরের নফল রোযার সওয়াব পাবে।

হাদিসে বর্ণিত সেই ছয়টি আমল হলো:-
১. জুমুআর নামাযের উদ্দেশ্যে ভালভাবে গোসল করা।
২. ওয়াক্ত হওয়ার সাথে সাথে (আযানের অপেক্ষা না করে) মসজিদে যাওয়া।
৩. পায়ে হেঁটে মসজিদে যাওয়া।
৪. ইমাম সাহেবের নিকটে বসা। অর্থাত, যতদূর সম্ভব সামনের কাতারে বসা।
৫. মনোযোগ সহকারে খুতবা শুনা।
৬. খুতবার সময় কোনো কথা না বলা ও কোনো কাজ না করা।

(সহীহ ইবনে খুযাইমাহ, হাঃ নং ১৭৫৮/ নাসায়ী, হাঃ নং ১৩৮৪, তিরমিযী, হাঃ নং ৪৯৬/ আবু দাউদ, হাঃ নং ৩৪৫)।

/এমএম

Comments