মিরাজও ছক্কা মারতে পারে!

প্রকাশিত: ৪:৫৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৮, ২০১৮

মুহাম্মদ নোমান ছিদ্দীকী:
ভারতের বিপক্ষে নিদাহাস ট্রফিতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ১৩৯ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার মিছিলে অন্যতম দৃষ্টিকটু বিষয় ছিল, মেহেদী হাসান মিরাজের ছক্কা মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়া। যদিও পরের ম্যাচে ২১৫ রান তাড়া করে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জিতেছে বাংলাদেশ।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঐতিহাসিক ওই জয়ের পরেরদিন শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশের গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন। সেখানেই তিনি কথা প্রসঙ্গে ভারতের ম্যাচের কথা টেনে এনে বলেছিলেন, ‘মিরাজ যেমন ভারতের বিপক্ষে ছয় মারতে গেল। এত বড় মাঠে ও ছক্কা মারতে পারবে? ওকে কি এজন্য কেউ বকা দিয়েছে?’

ওইদিনই কথাপ্রসঙ্গে মুশফিকের ব্যাপারে তিনি মন্তব্য করেছিলেন, ‘লিটন যে মারতে পারে জানতাম না। মুশফিক! ওকে বললাম, তুমি যে এমন মারতে পারো, জানতামই না! ও তো আসলে গত দুই বছরে ছয় মারতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ক্যাচ হয়। ও মারতে পারে। কিন্তু ছয় মারার খেলোয়াড় নয়।’

বিসিবি সভাপতির এসব মন্তব্য সত্যি সত্যি হাসির খোরাক জুগিয়েছিল ক্রিকেট সমর্থকদের মধ্যে। মুশফিক-মিরাজরা যে ছক্কা মারতে পারেন, তা সত্যি সত্যি জানতেনই না বিসিবি প্রেসিডেন্ট? মুশফিক তো আগেই দেখিয়ে দিয়েছিলেন। এবার ছক্কা মারার সামর্থ্য বিসিবি সভাপতিকে দেখালেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

ভারতের বিপক্ষে নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে শেষ মুহূর্তে যখন সাব্বির রহমান আউট হয়ে গেলেন, তখন মেহেদী হাসান মিরাজই ছিলেন শেষ ভরসা। শেষ ওভারে শার্দুল ঠাকুরকে মেরে খেলে একাই ১৮ রান নিয়েছিলেন মিরাজ। বিশেষ করে, শার্দুলের করা দ্বিতীয় বলে যেভাবে ছক্কা মেরেছিলেন ২০ বছর বয়সী এই যুবা, তাতে পুরো প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামই নির্বাক হয়ে গিয়েছিল।

ওভারের দ্বিতীয় বলটি বুক সমান ফুলটস দিয়েছিলেন শার্দুল ঠাকুর। ডাউন দ্য উইকেটে এগিয়ে এসে মাঝ ব্যাটে চালান মিরাজ। বল সোজা উড়ে গেলো বাউন্ডারির বাইরে। ছক্কা।

মিরাজ দেখিয়ে দিলেন তিনিও ছক্কা মারতে পারেন এবং প্রয়োজনের মুহূর্তে দারুণ একটি ইনিংস খেলে দলের সংগ্রহকে মোটাতাজা করে দিতে। যদিও, মিরাজের ৮ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এটা নিয়ে মোট ৩টি ছক্কার মার মেরেছেন তিনি

Comments