মার্কিন সেনাদের খরচ দিতে হবে সৌদি আরবকে: ট্রাম্প

প্রকাশিত: ১২:৩১ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ৫, ২০১৮

সিরিয়া থেকে নিজেদের সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু সৌদি আরবের চাওয়া অনুযায়ী যদি মার্কিন সেনাদের সিরিয়ায় থাকতে হয়, তাহলে তার সকল খরচ সৌদি আরবকেই বহন করতে হবে। মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা।

খবরে বলা হয়, মঙ্গলবার বাল্টিক অঞ্চলের তিন দেশ এস্তোনিয়া, লিথুনিয়া ও লাটভিয়ার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ট্রাম্প। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ‘সিরিয়ায় আমাদের লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে। দ্রুতই আমরা সিরিয়া ত্যাগ করবো। তবে সৌদি আরব আমাদের বিষয়ে খুবই আগ্রহী। আমি বলতে চাই, যদি সৌদি আরব চায় যে আমরা আরো কিছুদিন সেখানে অবস্থান করি, তাহলে দেশটিকে তার খরচ বহন করতে হবে।

মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েনকৃত মার্কিন সেনাদের জন্য সরকারকে অনেক বেশি অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে বলে জানান ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘১৭ বছরে ৭ ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়েছে। অথচ মৃত্যু ও ধ্বংসস্তূপ ছাড়া আমরা কিছুই পাইনি। এটা মারাত্মক একটি বিষয়। আমরা আইএস-বিরোধী যুদ্ধে পুরোপুরি সফল। ভবিষ্যতেও যে কারো সঙ্গে সামরিক যুদ্ধে সফল হবো। কিন্তু এখন ঘরে ফেরার সময় হয়েছে। আমরা তা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছি।

এর আগে সোমবার সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের সঙ্গে টেলিফোনে আঞ্চলিক বিভিন্ন সংকট নিয়ে কথা বলেন ট্রাম্প। তাদের মধ্যে ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে শান্তি আলোচনাসহ সৌদি-আমেরিকার কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরো জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা হয়। তবে দুই সরকার প্রধানের ফোনালাপে সিরিয়ায় মোতায়েনকৃত মার্কিন সেনাদের অর্থায়নের বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা তা জানা যায়নি।

গত বছর সিরিয়ায় মার্কিন সেনা মোতায়েন রাখার ঘোষণা দিয়েছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন। কিন্তু এক সপ্তাহ আগে হঠাৎ করেই মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন ট্রাম্প। ওহিয়োতে এক বক্তৃতায় তিনি বলেন, আমি সিরিয়া ত্যাগ করার পক্ষে। আমাদের সেনাদের ফিরিয়ে নিতে চাই। সেখানে আমরা অনেক কিছুই করেছি। তার অনেক কারণও রয়েছে। কিন্তু এখন সেখানে সেনা মোতায়েন রাখা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ব্যয়বহুল হয়ে পড়েছে। তাছাড়া সিরিয়ায় মার্কিন বাহিনীর উপস্থিতির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে অন্যরা বেশি লাভবান হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময়ে সিরিয়ায় আইএস-বিরোধী যুদ্ধ শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র।

Comments