মাদক,সন্ত্রাস ও দুর্নীতির মূলোৎপাটনে বদর যুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে-চরমোনাই পীর

প্রকাশিত: ৪:৪০ পূর্বাহ্ণ, জুন ৪, ২০১৮

স্টাফ রিপোর্টার:-ঐতিহাসিক বদর যুদ্ধ ইসলামের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী ঘটনা। মহানবী সা. এর নেতৃত্বে ৩১৩ জন সাহাবীকে নিয়ে রাসুল সা. কাফেরদের একটি বিরাট স্বশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে জিহাদ করে আল্লাহর গায়েবী মদদে বিজয় অর্জন করেছিলেন।মাদক,সন্ত্রাস ও দুর্নীতির মূলোৎপাটনে বদর যুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর উদ্দ্যোগে ঐতিহাসিক বদর যুদ্ধের চেতনা ও আমাদের করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই একথা বলেন।

সংগঠনের মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম এর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী মাওলানা এবিএম জাকারিয়া এর পরিচালনায় এতে বক্তব্য রাখেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য আল্লামা নুরুল হুদা ফয়েজী, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, রাজনৈতিক উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, কে এম আতিকুর রহমান, শেখ ফজলুল করীম মারুফ, আলহাজ্ব আলতাফ হোসেন, মাওলানা এইচ এম সাইফুল ইসলাম প্রমূখ।

মাদক বিরোধী অভিযানে প্রসংঙ্গে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, আমরা মাদকের মূলোৎপাটন চাই। কিন্তু অভিযানের নামে বিনা বিচারে মানুষ হত্যা সমর্থন যোগ্য নয়। রাঘব-বোয়ালসহ সত্যিকারের দোষীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি মাদকের পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি, অবৈধ অস্ত্র, ও পর্ণোগ্রাফির বিরুদ্ধেও যুদ্ধ ঘোষণার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিকট দাবী জানান।

নির্বাচন সম্পর্কে চরমোনাই পীর বলেন, ইসলামী আন্দোলন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে।

তবে তিনি বলেন, রাষ্ট্র ও জনগণের কোটি কোটি টাকা খরচ করে প্রহসণের নির্বাচনের কোনো অর্থ হয় না। এর দায় নির্বাচন কমিশন ও সরকারকেই নিতে হবে। খুলনা সিটি নির্বাচনসহ তাদের অধীনে অনুষ্ঠিত সকল নির্বাচনে কমিশন ক্ষমতাসীনদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। তাই প্রধান নির্বাচন কমিশনার সাংবিধানিক এগুরুত্বপূর্ণ পদে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে। চরমোনাই পীর নির্বাচন কমিশনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ৫ জানুয়ারির মত নির্বাচনের নামে নাটক করবেন না। দেশের জনগণকে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ দেয়ার ব্যবস্থা নিন ।

অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন বলেন, স্বাধীনতার ৪৭ বছরে অনেক নেতা ও দফার পরিবর্তন হয়েছে। তারা জাতির ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে পারেনি। তাই আগামী নির্বাচনে শান্তির প্রতীক হাতপাখাকে বিজয়ী করতে হবে।

মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমাদ বলেন, বদর যুদ্ধ মুসলমানদের ঈমান ও মনোবলকে শানিত করে। তাই বদরের চেতনায় সকল প্রকার অপশক্তি ও অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা ইমতিয়াজ আলম বলেন, বদর যুদ্ধ ছিল হক-বাতিলের প্রথম সামরিক যুদ্ধ। বদর আমাদের শিক্ষা দেয় সকল অন্যায়, সন্ত্রাস, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, গুম-খুনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার।

Comments