’মাংস হালাল আর ঝোল হারাম, এটা কেন?’: বি চৌধুরীকে অলি

প্রকাশিত: ১২:৫৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৮

একুশ ডেস্ক: বি চৌধুরীকে উদ্দেশ্যে করে ’মাংস হালাল আর ঝোল হারাম, এটা কেন?’ এমন প্রশ্ন তুলেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ। তিনি বলেছেন, আমরা আগেও বলেছি, যতো লোককে নিয়ে পারা যায় ঐক্য করা ভালো।  ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী যখন বিএনপির মহাসচিব ছিল, তখন মুসলিম লিগের শাহ আজিজুর রহমান প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। জয়পুরহাটের সাজাপ্রাপ্ত (যুদ্ধাপরাধী) আব্দুল আলীম রেলমন্ত্রী ছিলেন। এ ধরনের অনেকেই বিএনপিতে ছিল। ডা. বদরুদ্দোজা সাহেব তাদের মহাসচিব ছিলেন। তাহলে সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে বক্তব্যে পার্থক্য হচ্ছে কেন? মাংস হালাল, আর ঝোল হারাম, এটা কেন?

জাতীয় জোটে অংশ নিতে হলে বিএনপিকে জামায়াত ছাড়তে কবে বিকল্পধারার দেয়া এমন শর্ত প্রসঙ্গে শুক্রবার বিকেলে এলডিপির প্রধান কার্যালয়ে বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীদের এলডিপিতে যোগদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন অলি আহমদ।

অলি আহমদ বলেন, নিজ নিজ জায়গায় অহংকার নিয়ে বসে থাকলে দেশ ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাবে। উন্নয়নের রাজনীতি আইউব খানও করেছিল। উন্নয়নের রাজনীতি দিয়ে গণতন্ত্র চলে না। সেতু আর রাস্তা করে মানুষের পেট ভরে না। বর্তমান সরকার যেভাবে নির্বাচিত হয়েছেন, তাতে জনগণের কোনো অংশগ্রহণ নেই। এখন সরকারের বিরুদ্ধে শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ অবস্থান নিয়েছে। দেশের জন্য এটাও ভাল নয়।

তিনি বলেন, পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে, রক্তপাত অবশ্যম্ভাবী। আগামী মাস থেকে বিরোধীদল এবং সরকারের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হবে। এই সংঘর্ষে কতো প্রাণ যাবে তার কোনো সীমারেখা নাই। এটা এড়াতে হলে সরকার ও বিরোধী দলগুলোকে নমনীয় হতে হবে। আলোচনায় বসতে হবে। উভয়পক্ষকে সমঝোতার মাধ্যমে জনগণকে পথ দেখাতে হবে।

ঐক্য গড়তে বিএনপিকে জামায়াত ছাড়তে বি. চৌধুরীর শর্তের বিষয়ে এলডিপি সভাপতি বলেন, বি. চৌধুরী সাহেব যখন রাষ্ট্রপতি ছিলেন, তখনতো মুজাহিদ ও নিজামী সাহেব মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। আমিতো সেদিন মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলাম না। দোকানদারদের কাছে যারা পরাজিত হয়েছেন, যাদের পেছনে কোনো লোক নেই। তাদের মাহাথির মোহাম্মদ বানানো যাবে না।মাহাথির মোহাম্মদ মালশিয়ার জন্মদাতা। আধুনিক মালয়েশিয়ার নির্মাতা। যার বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতির অভিযোগ নেই। স্বজনপ্রীতির অভিযোগ নেই। আর আমরাতো ছেলের কাছেই বিক্রি হয়ে যাই। আমাদের ছেলেরা ভিওআইপির ব্যবসা করে।

আমাদের ছেলেরা মানে যারা আজকে ঐক্যজোটে তাদের অনেকের ছেলে ভিওআইপির ব্যবসা করে। তাহলে ভিওআইপির ব্যবসা কার থেকে নিয়েছে? আওয়ামী লীগের কাছ থেকে, সজীব ওয়াজেদ জয়ের কাছ থেকে নিয়েছে। আর এদিকে বলছে আমরা ঐক্য করছি। রুমের ভেতরে থাকলে এক রকম, বাইরে বের হলে অন্য রকম। কখনো বলে ঐক্যজোটে আছি কখনো বলে ঐক্যজোটে নেই।

কর্নেল (অব.) অলি আহমদের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম প্রমুখ।

/এমএম

Comments