ভোলায় ৪ যুবকের ব্লেডের আাগাতে ক্ষত-বিক্ষত ছাত্রী হাসপাতালে

প্রকাশিত: ৫:০৩ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৫, ২০১৮

ভোলা প্রতিনিধি: ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলায় কলেজ ছাত্রীর হাত মুখ বেধেঁ সমস্ত শরীর ব্লেড দিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করছে ৪ যুবক। এ ঘটনার অভিযুক্ত তুহিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় দৌলতখান উপজেলা চরখলিফা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে শিক্ষার্থীটির বাড়িতে ঢুকে তুহিন, জিন্নাহ, পাভেলসহ ৪ জন তার হাত মুখ বেধেঁ ঘরের বাহিরে নিয়ে আসে। এরপর সমস্ত শরীর ব্লেড দিয়ে কুপিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করে। এসময় মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে ভেবে মেয়েটিকে বাড়ির উঠানে ফেলে পালিয়ে যায় তারা। শারমিনের কাঁতরানো শব্দ শুনে পাশের ঘরের লোকজন এসে শারমিনকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে।

হাসপাতালের চিকিৎসারত শারমিন জানান, দীর্ঘদিন ধরে কলেজে আসা-যাওয়ার পথে তুহিন ও তার বন্ধুরা বিরক্ত করত। মাঝে মধ্যে শারমীনকে হত্যার হুমকি দিলেও এলাকার প্রভাবশালী হবার কারণে তুহিনের বিরুদ্ধে বিচার দেয়ার সাহস করেনি তার পরিবার। গতকাল রাতে ঘরে ঢুকে তার মুখ বেধেঁ বাড়ির উঠোনে নিয়ে আসে তুহিনসহ তার তিনবন্ধু। এরপর তারা ৪ বন্ধু মিলে চারটি ব্লেড দিয়ে সমস্ত শরীর ক্ষত-বিক্ষত করতে থাকে এবং আমি মরে গেছি বুজে আমাকে বাড়ির উঠানে ফেলে চলে যায়।

দৌলতখান থানার ওসি এনায়েত হোসেন জানান, তার পরিবার থেকে এখন পযর্ন্ত কোন অভিযোগ না দিলেও পুলিশ স্থানীয়দের কাছ থেকে ঘটনা শুনে প্রধান অভিযুক্ত সন্ত্রাসী তুহিনকে গ্রেপ্তার করেছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং হাসপাতালে শারমীনের চিকিৎসার নিয়মিত খোঁজ-খবর রাখছে পুলিশ। এছাড়া তার পরিবার পুলিশি নিরাপত্তায় রয়েছে বলেও জানান।

Comments