ভৈরবে পতাকার ফেরিওয়ালা মুক্তার মিয়া

প্রকাশিত: ৩:৪০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১২, ২০১৮

ভৈরব প্রতিনিধি: চলছে বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। বিজয়ের চেতনায় এ মাসের শুরু থেকেই জাতীয় পতাকার ব্যবহার বেড়ে যায়। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে এটি চূড়ান্ত রূপ ধারণ করে। এ কারণে এ সময় পতাকা তৈরির ধুম পড়ে যায়।

বাড়ির ছাদে, বারান্দায়, গাড়িতে, রিকশায়, এমনকি মোটরসাইকেলের লাল-সবুজের পতাকা পতপত করে উড়তে থাকে। এজন্য সারা দেশের ন্যায় ভৈরবেও চলছে জাতীয় পতাকা বিক্রির ধুম।

ভৈরব শহরের অলিগলিতে মৌসুমি পতাকা বিক্রেতারাও হাঁকডাক দিয়ে বিক্রি করছেন দেশের জাতীয় পতাকা।

নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখে যায় একটি বাঁশে বাহারি সাইজের পতাকা নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন অনেকেই। ফেরি করে পতাকা ও বিজয় দিবসের ব্যাচ বিক্রি করছেন তারা।

নগরীর বিভিন্ন মোড় এলাকায় পতাকা বিক্রি করা মুক্তার মিয়া নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, বিজয় দিবসের আর মাত্র ৪ দিন বাকি। এজন্য এখন থেকে পতাকা বিক্রি করছি।

পতাকা দাম জানতে চাইলে তিনি বলেন ছোট পতাকাগুলো শিশু বাচ্চারা থেকে তরুণ-তরুণীরা বেশি নেয়। এ পতাকাগুলো ১০ টাকা করে বিক্রি করি।

এছাড়া, বড় পতাকাগুলো ১০০ টাকা, তার চেয়ে একটু ছোটগুলো ৬০ টাকা আর মাথায় বাধা বিজয় দিবসের ব্যাচ প্রতিটি ১০ টাকা করে বিক্রি করি।

কত টাকা আয় হয় জানতে চাইলে বলেন,আয় হওয়াটা বড় বিষয় নয়। এটা তো সারা বছর চলে না। বছরের এই বিজয়ের মাসেই পতাকা তৈরি করে বিক্রি করি। ভালোবাসা থেকেই মূলত এটা করি। ভালোবাসা আছে বলেই মানুষও পতাকা কিনে।

এই পতাকার জন্য আমাদের রক্ত দিতে হয়েছে তাই এই পতাকাকে ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা করা কর্তব্য মনে করি।

পতাকা কিনতে আসা রুবেল মিয়া নামে এক ব্যক্তি সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, এই পতাকার জন্য বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছেন। আর এই পতাকা কেনার ফলে আমি নিজেকে গর্বিত মনে করছি।

/আরএ

Comments