বিকেলে ডেকে নিলেন স্ত্রী, রাতে মিললো স্বামীর গলাকাটা মরদেহ

প্রকাশিত: ১২:১৩ পূর্বাহ্ণ, মে ২, ২০১৮

জেলা প্রতিনিধি লক্ষ্মীপুর:লক্ষ্মীপুরে মোবাইল ফোনে শ্বশুরবাড়িতে ডেকে নিয়ে জামাই কাজী ওমর ফারুককে (২৮) হত্যার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার রাতে চন্দ্রগঞ্জের পূর্ব জাফরপুর গ্রামের শ্বশুরবাড়ি থেকে নিহতের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।নিহতের স্বজনদের দাবি- পারিবারিক কলহের জের ধরে তাকে হত্যা করেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
নিহত ফারুক চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের দেওপাড়া গ্রামের আবদুল লতিফের ছেলে। তিনি পেশায় কৃষক ছিলেন।

পুলিশ ও স্বজনরা জানান, প্রায় আড়াই বছর আগে ফারুকের সঙ্গে একই ইউনিয়নের পূর্ব জাফরপুর গ্রামের আবদুল মান্নানের মেয়ে মমতাজ আক্তার ডলির পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। প্রায়ই তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ দেখা যেত। তিন মাস আগে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। ওই সময় শ্বশুরবাড়ির লোকজন ফারুকের বাড়িতে এসে তাকে মারধর করে। পরে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়। কিছুদিন পর আবার ঝগড়া হলে কাউকে কিছু না জানিয়ে ডলি বাবার বাড়ি চলে যান।

সোমবার বিকেলে স্ত্রী ডলি মোবাইল ফোনে ফারুককে শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার জন্য বলেন। সন্ধ্যায় তিনি ওই বাড়িতে যান। এরপর শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে খুন করে একটি কক্ষে রাখে বলে স্বজনদের অভিযোগ। বাড়ির আশপাশের লোকজন বিষয়টি অনুমান করতে পেরে পুলিশে খবর দেয়। রাতেই পুলিশ ওই বাড়িতে গিয়ে নিহতের তার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে। এ সময় মেঝে থেকে একটি রক্তমাখা দা জব্দ করে পুলিশ। পরে মঙ্গলবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) জাফর আহাম্মদ বলেন, ঘটনাটি রহস্যজনক। তবে ঘটনার আলামত পেয়ে ধারণা করা হচ্ছে- এটি হত্যাকাণ্ড। ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

Comments