বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশিত: ১০:২২ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৭, ২০১৮

চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা : চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় বিএনপির এক নেতাকে নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (৭ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর হেলাল- উল ইসলাম ( ৫৫) মারা যায়। হেলাল উপজেলার খাদিমপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি। তিনি যুগিরহুদা গ্রামের একদিল বিশ্বাসের ছেলে।

এর আগে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নিজ ধানের জমিতে সেচ দিতে বাড়ি থেকে বের হয় হন হেলাল। পূর্ব বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার দুই পায়ে কোপায়। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়।

নিহতের স্ত্রী রাজিয়া খাতুন বলেন, কয়েক দিন আগে প্রতিবেশী মানিককে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় তার স্বামীকে দায়ী করে বিভিন্নভাবে হুমকি দিতে থাকে সদ্য কারামুক্ত মানিক। আজ তাকে কুপিয়ে হত্যা করল।

প্রতিবেশী তোফাজ্জেল ইসলাম জানান, মানিকসহ তার সহযোগীরা গ্রামের চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। বিএনপি নেতা হেলাল-উল ইসলাম গ্রামে মাদক বিক্রির বিরুদ্ধে সোচ্ছার ছিলেন। কয়েক দিন আগে মানিক ইয়াবাসহ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়।

বিএনপি নেতার মৃত্যুতে সদর হাসপাতালে ভিড় জমাতে থাকে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মজিবুল হক মালিক মজু জানান, নিহত হেলাল ছিলেন শহীদ জিয়ার আদর্শের নিবেদিত কর্মী। হেলালকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে দ্রুত হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান তিনি।

সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা শামীম কবীর বলেন, সকাল ১০টার দিকে হাসপাতালে নেওয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. কলিমুল্লাহ জানান, নিহত হেলাল এবং হামলাকারীরা আত্মীয়। পূর্ববিরোধের জের ধরে হামলা হতে পারে। নিহত ব্যক্তি মারা যাওয়ার আগে হামলাকারী হিসেবে একই গ্রামের মানিক ও তার সহযোগীদের নাম বলে গেছেন। অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশ অভিযানে নেমেছে।

#একুশ নিউজ/এএইচ

Comments