বিএনপির ডাকা কর্মীসভায় ১৪৪ ধারা জারি

প্রকাশিত: ১০:১৭ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ৭, ২০১৮

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলায় বিএনপি ও আওয়ামী লীগ একই স্থানে সভা আহ্বান করায় যেকোনো ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এড়াতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

শনিবার সকাল ১০টায় উপজেলার বালিগাঁও ইউনিয়নের নয়াগাঁও গ্রামে জেলা বিএনপির ডাকা কর্মীসভার দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ ছাড়াও ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলনের উপস্থিত থাকার কথা ছিল।

এর আগে শুক্রবার বিকেলে বালিগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ একই স্থানে সভা করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করে। তারপরই সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয় বলে জানিয়েছেন টঙ্গীবাড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাসিনা আক্তার।

ইউএনও আরো জানান, ‘গতকাল বিকেলে বালিগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আজগর হোসেন চঞ্চল নয়াগাঁও গ্রামে সভার অনুমতি চেয়ে প্রশাসনকে চিঠি দেন। একইস্থানে সভা করার অনুমতি চেয়েছিল বিএনপি।’

‘এমতাবস্থায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় ১৪৪ ধারা জারি করে সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জনসাধারণের নিরাপত্তার জন্য এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে’, যোগ করেন ইউএনও।

মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন জানান, জেলা বিএনপির কর্মীসভাটি আয়োজনের জন্য প্রশাসনের কাছ থেকে সব ধরনের মৌখিক অনুমিত নেওয়া হয়েছিল। এত জায়গা থাকতেও আমাদের পূর্ব নির্ধারিত সভাস্থলে কেন এমনটি করা হয়েছে তা জানা নেই।

যদি সমঝোতা এবং শান্তিপূর্ণভাবে বেগম জিয়ার মুক্তি এবং আগামী নির্বাচনে আমাদের যে দাবি সেটা যদি অর্জন করা সম্ভব না হয় তাহলে অবশ্যই আমাদের বিকল্প পথ দেখতে হবে। আর তখন দেশের মানুষকে নিয়ে আমাদের দাবি আদায়ের জন্য অবশ্যই রাজপথে নামতে হবে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমেদ।

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এখন পর্যন্ত ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি। তবে দলীয় চেয়ারপারসনের কারাবাস দীর্ঘ হলে এসব কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ নাও থাকতে পারে বলে জানাচ্ছেন জ্যেষ্ঠ্য নেতারা। পাশাপাশি আন্দোলন জোরদার করার জন্য সারাদেশে আরও কর্মসূচি দেওয়ার পরিকল্পনা তাদের।

জিয়া অরফানেজ মামলায় দণ্ডিত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এক মাসের বেশি সময় ধরে কারাগারে। হাইকোর্ট থেকে জামিন পেলেও আপিল বিভাগ তা স্থগিত করেছে। দলীয় প্রধানের মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন দলের নেতাকর্মীরা। তবে খালেদা জিয়ার কারাবাস দীর্ঘ হবে বলেই মনে করছেন জ্যেষ্ঠ নেতারা।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বেগম জিয়াকে কারাগারের ভিতরের রাখার উদ্দেশ্য দেশর জনগণকে বাইরে রেখে নির্বাচন করে ক্ষমতা দখল করা। কারণ বেগম জিয়া বাইরে থাকলে তাদের পক্ষে নির্বাচন করা সম্ভব হবে না। এটা তাদের ব্লু প্রিন্টের একটা অংশ।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, যদিও ম্যাডাম বলেছে, তোমরা ফাঁদে পা দিবা না, তোমরা উৎশৃঙ্খল হবা না। কিন্তু ধর্য্যেরওতো একটা শেষ আছে। আর এক সময় হয়তো বিএনপির নেতা কর্মীদের আর ধরে রাখা যাবে না। খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে সরকার নির্বাচন করতে পারবে না বলেও মনে করছেন বিএনপি নেতারা।

/ আরটিএন

Comments