বাড়ি ফেরা হল না সিলেটের রাগীব রাবেয়া মেডিকেলের ১৩ শিক্ষার্থীর

প্রকাশিত: ৩:৩৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ১২, ২০১৮

একুশনিউজ : নেপালে বিধ্বস্ত বিমানটিতে ছিল ১৩ জন মেডিকেল শিক্ষার্থী। যার মধ্যে ১১ জন মেয়ে ও ২ জন ছেলে। তারা নেপালের নাগরিক ছিলেন। বাংলাদেশের সিলেটের জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী।

তারা হলেন- সঞ্জয় পৌডেল, সঞ্জয়া মহারজন, নেগা মহারজন, অঞ্জলি শ্রেষ্ঠ, পূর্ণিমা লোহানি, শ্রেতা থাপা, মিলি মহারজন, শর্মা শ্রেষ্ঠ, আলজিরা বারাল, চুরু বারাল, শামিরা বেনজারখার, আশ্রা শখিয়া ও প্রিঞ্চি ধনি।

পরীক্ষা শেষে নিজ দেশ নেপালে বাড়ি ফিরছিলেন তারা। কিন্তু তার আগেই নেপালের রাজধানী কাঠমুন্ডুতে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা ঘটে।

জালালাবাদ রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল আবেদ হোসেন জানান, ওই বিধ্বস্ত বিমানে তাদের ১৩ শিক্ষার্থী ছিলেন। এদের সবারই মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পেয়েছেন তিনি। এদের মধ্যে ১১ জন মেয়ে শিক্ষার্থী ও ২ জন ছেলে শিক্ষার্থী।

আবেদ হোসেন জানান, নিহতরা সবাই ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষা শেষ করে নিজেদের দেশ নেপালে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন। নেপাল পৌঁছার পরই এ দুর্ঘটনার স্বীকার হন তারা।

এদিকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজের উপ-পরিচালক ডা. আরমান আহমদ শিপলু।

১৩ জন শিক্ষার্থীর নিহত হওয়ার কারণে কলেজটিতে তিনদিনের শোক ঘোষণা করা হয়েছে ।

উল্লেখ্য, ইউএস বাংলার বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৫০ জন নিহত হয়েছেন। ইউএস-বাংলার পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিমানটিতে ৬৭ জন যাত্রী ও চারজন বিমানকর্মী ছিল। যাত্রীদের মধ্যে ৪০ জন বাংলাদেশ, ২০ জন নেপাল ও সাতজন অন্যান্য দেশের নাগরিক ছিল। নেপালের বেসরকারি বিমানচলাচল কর্তৃপক্ষের প্রধান সঞ্জীব গৌতম জানান, বিমানটি রানওয়েতে অবতরণের সময় নিয়ন্ত্রণ হারায়।ধারণা করা হচ্ছে সেটিতে কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল। তবে বিমানটি বিধ্বস্তের প্রকৃত কারণ উদঘাটনের কারণ জানার চেষ্টা চলছে।

/এসআর

Comments