প্রমাণ পেলে বদিকেও ছাড় নয়: সেতুমন্ত্রী

প্রকাশিত: ৬:৫৭ পূর্বাহ্ণ, জুন ৪, ২০১৮

বদিকে সরকার ছাড় দিচ্ছে কিনা- এ প্রশ্নে ওবায়দুল কাদেরের পাল্টা প্রশ্ন, বদি মাদকের গডফাদার, প্রমাণ কি? তিনি বলেছেন, বদির মাদক সংশ্নিষ্টতা প্রমাণ করা গেলে তাকেও ছাড়া হবে না। মাদক বিরোধী অভিযান চলাচলে তালিকায় নাম থাকা আওয়ামী লীগের এমপি আবদুর রহমান বদি দেশত্যাগে কোন সমস্যা দেখছেন না আওয়ামী লীগ সাধারণ ও সেতুমন্ত্রী সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

রোববার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মেট্রোরেলের প্যাকেজ-৭ এর চুক্তি সই অনুষ্ঠান শেষে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে মাদক বিরোধী অভিযান চলেছে। এতে অন্তত ১৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশের দাবি, নিহতরা মাদক ব্যবসায়ী। তারা ‘বন্দুকযুদ্ধ’ নিহত হয়েছেন। তবে টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ পৌর কাউন্সিলর একরামুল হকের মৃত্যু মুহূর্তের অডিও ছড়িয়ে পড়ার পর অনেকেই অভিযোগ করছেন বন্দুকযুদ্ধের নামে সন্দেহভাজনদের হত্যা করা হচ্ছে।

চলমান অভিযানে প্রাণহানীর ঘটনায় জাতিসংঘের অফিস অন ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম (ইউএনওডিসি) জানিয়েছে, তারা পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। এর প্রতিক্রিয়ায় ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতিসংঘের পর্যবেক্ষণের অধিকার রয়েছে, তা তারা করুক। বিদেশি বন্ধুরাও চাইলে পর্যবেক্ষণ করতে পারেন। কিন্তু কারো চাপে বাংলাদেশ নতি স্বীকার করবে না। কারো কথায় অভিযান বন্ধ হবে না।

একরামুলের মৃত্যুতে কেউ দোষী হয়ে থাকলে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, একরাম আওয়ামী লীগের কর্মী। একরামুল তদন্তে নির্দোষ প্রমাণিত হলে যারা তাকে দোষী সাবস্ত করেছে তাদের ছাড়া হবে না।

মাদক বিরোধী অভিযানে প্রাণহানী বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন ১০ বিশিষ্ট নাগরিক। তাদের সমালোচনার জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সমালোচনা করার অধিকার সকলেরই রয়েছে। তরুণ সমাজকে ধ্বংস করছে মাদক, তা ধ্বংস করতেই হবে।

প্যাকেজ-৭ এর চুক্তি : অনুষ্ঠানে মেট্রোরেলের (এমআরটি-৬) বৈদ্যুতিক সাব স্টেশন ও ট্রেনে বিদ্যুতে সরবরাহের লাইন নির্মাণ, চলন্ত সিড়ি নির্মাণ ও স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে ভাড়া আদায়ে ব্যবস্থাপনা নির্মাণ কাজের চুক্তি সই হয়েছে। চার হাজার ৯৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে এসব কাজ করবে জাপান ও ভারতের যৌথ মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান মারুবেনি-লারসেন-টুবরু।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ওবায়দুল কাদের। উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা, জাপানের রাষ্ট্রদূত মাসাতো ওতানাবে, সড়ক নজরুল ইসলাম, মেট্রোরেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম,এ,এন ছিদ্দিক, প্রকল্প পরিচালক আফতাব উদ্দিন তালুকদার।

Comments