পুলিশের বিতর্কিত ডিআইজি মিজানকে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ

প্রকাশিত: ১২:৫৫ অপরাহ্ণ, মে ৩, ২০১৮

স্টাফ রিপোর্টার: অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বহুল আলোচিত ও বিতর্কিত, পুলিশের ডিআইজি মিজানুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে দুদকের উপপরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী তার জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছেন।

এর আগে গত ২৫ এপ্রিল তাকে তলব করা নোটিশে ৩ মে হাজির হতে বলা হয়েছিলো। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য গণমাধ্যমকর্মীদের এসব তথ্য জানান। তিনি জানান, দুদুকের কাছে নামে-বেনামে ডিআইজি মিজানের শত কোটি টাকার সম্পদ থাকার অভিযোগ রয়েছে।

প্রসঙ্গত, এর আগে এক নারীকে জোর করে বিয়ে এবং পরে তা অস্বীকার করার অভিযোগ রয়েছে ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে। অতিরিক্ত কমিশনার মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে একটি জাতীয় দৈনিককে এক নারী বলেন, পান্থপথের স্কয়ার হাসপাতালের কাছে তার বাসা। গত বছরের জুলাইয়ে সেখান থেকে কৌশলে তাকে তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান। পরে বেইলি রোডের মিজানের বাসায় নিয়ে তিনদিন আটকে রাখা হয়েছিল তাকে।

মরিয়ম আক্তার ইকো নামের ওই নারীর দাবি, আটকে রাখার পর বগুড়া থেকে তার মা’কে ১৭ জুলাই ডেকে আনা হয় এবং ৫০ লাখ টাকা কাবিননামায় মিজানকে বিয়ে করতে বাধ্য করা হয়। পরে লালমাটিয়ার একটি ভাড়া বাড়িতে তাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে রাখেন আগে থেকেই বিবাহিত মিজান।

ডিআইজি মিজানের বিয়ে নিয়ে তোলপাড়!

মরিয়ম আক্তার ইকো

ওই নারীর অভিযোগ, কয়েক মাস কোনো সমস্যা না হলেও ফেসবুকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে একটি ছবি তোলার পর ক্ষিপ্ত হন মিজান। ভাঙচুরের ‘মিথ্যা’ একটি মামলা দিয়ে তাকে গত ১২ ডিসেম্বর কারাগারে পাঠানো হয়। সেই মামলায় জামিন পাওয়ার পর মিথ্যা কাবিননামা তৈরির অভিযোগে আরেকটি মামলা করানো হয়। ওই মামলাতেও জামিনে বেরিয়ে এসে অতিরিক্ত কমিশনার মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন ওই নারী।

ওই নারীর অভিযোগ, প্রায় চার মাস সংসার করার পর ফেইসবুকে স্বামী পরিচয় দিয়ে মিজানের একটি ছবি তোলার পর মিজান তাকে নানাভাবে নির্যাতন শুরু করেন। দুটি ‘মিথ্যা মামলা’ দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। পরে জামিনে তিনি বেরিয়ে আসেন। তবে মিজান এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, ওই নারী একজন প্রতারক।

/এমএম

Comments