পাবলিক পরিবহনে যৌন হয়রানি বন্ধে পরীক্ষামূলক আইন চালু

প্রকাশিত: ৩:০৪ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১০, ২০১৮

তুহিন খন্দকার: ব্রাজিলের বিভিন্ন পাবলিক পরিবহনে প্রতি ২০ ঘন্টায় একজন নারী যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে তথ্য দিয়েছে দেশটির একটি গণমাধ্যম।

আর সে হয়রানি বন্ধে পরীক্ষামূলকভাবে নতুন এক আইন প্রণয়ন করেছে দেশটির আইন ও নিরাপত্তা বিভাগ।

২০১৬ সালে ‘ইউগভ‘ এর একটি সমীক্ষা অনুসারে সর্বপ্রথম জানা যায় দেশটির শতকরা ৮০ ভাগ নারী তাদের কর্মস্থলে যাবার পথে যৌন হয়রানির শিকার হন। তারপর প্রাথমিক ভাবে সেটি বন্ধে জরমিানার বিধান রেখে একটি আইন পাস করা হয়। সেই আইন ফলপ্রসু না হওয়ায় গত সেপ্টেম্বর দেশটির আইন বিভাগ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রেখে নতুন আইন চালুর ঘোষণা দেয়।

এ সম্পর্কে সাঁও পাওলো প্রসিকিউটর সিলভিয়া চাকিয়ান বলেন, আইনটি নারীদরে সম্মানের দিক বিবেচনা করে ছয় থেকে দশ বছরের দণ্ড দেয়ার বিধান প্রণয়ন করা উচিত। কেননা অতীতে অল্প দন্ডের ফলেই সমস্যাটি রোধ করা সম্ভব হয়নি। এবং কিছু কিছূ ক্ষেত্রে এমনও হয়েছে যে আইনের ফাঁক গলে অভিযুক্তরা সহজেই পার পেয়ে গেছে। আর তাই সাজা কঠোর করা অবশ্যই প্রয়োজন।

নতুন এ আইনে বলা আছে কোন নারীর অসম্মতিতে যদি কেউ তার সাথে কোন অশোভন আচরণ করে তবে তাকে পাঁচ বছরের কাদণ্ডে দন্ডিত হতে হবে।

হয়রানির শিকার একজন মহিলা জানান, তার কর্মস্থলে যাবার পথে ট্রেনে একজন লোক তার পাশে বসে উরুতে হাত দিয়েছিলো ফলে  তিনি পরবর্তী স্টেশনে ট্রেনটির দরজা বন্ধ করে দেন এবং ঘটনাটি নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের কাছে জানান। অতঃপর পুলিশ এস ব্যক্তিটিকে ধরে নিয়ে যায় এবং সে মামলাটি প্রক্রিয়াধিন রয়েছে।

সূত্র জানায়, গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ২৫ সেপ্টেম্বরের ভেতরে সাঁও পাওলো মহানগরের বাস ও ট্রেনগুলিতে মোট ৩৬ জনের মতো নারী যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে যার মধ্যে ১৩ টির মামলা হয়েছে এবং তাদের সবাইকে আটক করা হয়েছে।

বিআইজে/

Comments