নিজেদের জমিতে ইসরায়েলের ‘অধিকার’ আছে : ক্রাউন প্রিন্স

প্রকাশিত: ১২:৩৫ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৩, ২০১৮

একুশ ডেস্ক : ক্রাউন প্রিন্স ও সৌদি আরবের ‘মূল’ শাসক মোহাম্মদ বিন সালমান বলেছেন, ‘মাতৃভূমিতে ইসরায়েলের অধিকার আছে।’ সোমবার এ খবর প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল।

সৌদি আরব কখনো ইসরায়েল রাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়নি। কিন্তু সৌদি যুবরাজের এই বক্তব্যকে ইসরায়েল প্রসঙ্গে সৌদি আরবের অবস্থান পরিবর্তন সংক্রান্ত ‘খুবই গুরুত্বপূর্ণ’ একটি ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

সৌদি আরব ইসরায়েলের মধ্যে এখনো আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। তবে পর্দার পেছনে পুরো গল্পটাই ভিন্ন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদি আরবের মধ্যকার সম্পর্ক উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি পেয়েছে।

ফিলিস্তিনের সঙ্গে সংঘাতই ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক উন্নয়নের সবচেয়ে বড় বাধা। রিয়াদ এখনো ফিলিস্তিনিদের সার্বভোমত্বের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রেখেছে।

যুক্তরাষ্ট্রে তিন সপ্তাহের সফরে আছেন ক্রাউন প্রিন্স। সেখানে দ্য আটলান্টিক সাময়িকীর এডিটর ইন চিফের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। জেফ্রি গোল্ডের এক প্রশ্নের উত্তরে মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যে বিশ্বের সব জায়গায় প্রত্যেক মানুষের অধিকার আছে শান্তিপূর্ণ রাষ্ট্রে বসবাস করার। আমি বিশ্বাস করি ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলের নিজেদের জমিতে অধিকার আছে। এজন্য শান্তিপূর্ণ চুক্তি থাকতে হবে যাতে সব মানুষের স্থিরতা ও শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা সম্ভব হয়।’

ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্মের পর থেকে তাকে কখনোই সৌদি আরব স্বীকৃতি না দিলেও সাম্প্রতিক সময়ে দুদেশের মধ্যে কিছুটা গোপনেই সম্পর্কের বেশ উন্নতি হয়েছে।

এর কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে, দুপক্ষই মধ্যপ্রাচ্যে ইরানকে তাদের বিশাল হুমকি বলে মনে করছে। ফলে ইরানের ক্রমবর্ধমান প্রভাব ও শক্তি মোকাবেলার লক্ষ্য নিয়ে ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক ভাল করার উদ্যোগ নিয়েছে সৌদি আরব। শুধু তাই নয়, এ দুই দেশের মূল সহযোগী হচ্ছে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র।

এমনকি গত নভেম্বরে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, ইরানকে মোকাবেলায় তার দেশ প্রয়োজনে সৌদি আরবের সাথে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়ের জন্যেও প্রস্তুত রয়েছে।

সেই সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যে ইসলাম পন্থী সশস্ত্র জঙ্গিদের উত্থানকেও দুই দেশই বর্তমান সময়ের বড় ঝুঁকি বলে মনে করে। ফলে গত কয়েক মাসে ইসরায়েল-সৌদি আরব সম্পর্ক বেশ নিবিড়ও হয়ে উঠেছে।

এছাড়া সিরিয়া পরিস্থিতি এবং ইরান এবং লেবাননের হেজবুল্লাহ গ্রুপের ক্রমবর্ধমান প্রভাব বৃদ্ধির ফলেও কিছুটা শঙ্কিত ইসরায়েল।

/এসআর

Comments