ধুলিকণা থেকে স্বর্ণ সংগ্রহ করে জীবিকা নির্বাহ

প্রকাশিত: ১২:৩৬ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৮

জেলা প্রতিনিধি:ধুলিকণা থেকে স্বর্ণ সংগ্রহ করে জীবিকা নির্বাহ


ড্রেনের ময়লা বা স্বর্ণের দোকানের ধুলাবালি থেকে স্বর্ণ কণা সংগ্রহ করে অনেকেই জীবিকা নির্বাহ করছে। কেউ স্বল্প পুঁজিতে আবার কেউ পুঁজি ছাড়াই ময়লা থেকে স্বর্ণ সংগ্রহ করছে। মাসে একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর আয় ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা।

স্বর্ণের দোকানের ধুলাবালি বা ড্রেনের ময়লা থেকে স্বর্ণ সংগ্রহ করে মাসে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা আয় করছে অনেকেই। কেউ স্বল্প পুঁজিতে আবার কেউ পুঁজি ছাড়াই ময়লা থেকে স্বর্ণ সংগ্রহ করছে। এই পেশায় জীবিকা নির্বাহ করছেন তারা।

মূল্যবান ধাতু স্বর্ণ নিয়ে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। ভরি অর্ধলাখ টাকা ছাড়ালেও থেমে নেই স্বর্ণ বিক্রি। কারিগর থেকে শুরু করে বিক্রেতা- অনেকেই জড়িত স্বর্ণ ব্যবসায়। তবে স্বর্ণ ব্যবসায় এমন একদল লোক আছে, যারা ড্রেন বা স্বর্ণের দোকানের ধুলি-ময়লা থেকে স্বর্ণ কণা সংগ্রহ করেন। এদের বলা হয় নেহারওয়ালা।

যেসব জায়গায় স্বর্ণের কাজ করা হয়, শুধু সেসব জায়গার ড্রেন থেকেই তারা স্বর্ণ কণা সংগ্রহ করে। স্বর্ণ সংগ্রহের পর এটি ধুইয়ে রিফাইন করা হয়। রিফাইনের পর স্বর্ণ গলিয়ে হয় বিক্রি। এতে প্রতিদিন তাদের আয় ৫০০ থেকে এক হাজার টাকা।

নেহারওয়ালাদের মধ্যে আবার অনেকেই আছে, যারা প্রতিমাসে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা দিয়ে স্বর্ণের দোকানের ময়লা কেনে। এই স্বল্প পুঁজিতে প্রতিমাসে মুনাফা হয় ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা।

রাজধানীর তাঁতীবাজারের জুয়েলারি মালিকদের তথ্য অনুযায়ি, সারাদেশে প্রায় ২০ হাজারের মতো নেহারওয়ালা আছে। শুধু তাঁতীবাজারেই আছে প্রায় ১২০ জন। তাঁতীবাজারের অনেক ব্যবসায়িই নেহারওয়ালাদের কাছ থেকে স্বর্ণ কেনেন।

নেহারওয়ালাদের স্বর্ণ নিয়ে কখানো কোনো অভিযোগ শোনা যায়নি বলে জানিয়েছে স্বর্ণ ব্যবসায়িরা।

Comments