দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শুক্রবার পর্যন্ত টানা বৃষ্টি হতে পারে

প্রকাশিত: ৭:৩৫ অপরাহ্ণ, জুন ১২, ২০১৮

মুহাম্মদ নোমান ছিদ্দীকী:সোমবার (১১ জুন) বিকেল ৪টা থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ভারী বর্ষণ শুরু হয়েছে। কয়েক ঘন্টার বৃষ্টিতে অনেক এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এদিকে জাপানের আবহাওয়া স্যাটেলাইট এবং ইন্ডিয়ান আবহাওয়া স্যাটেলাইটের ইমেজিং সূত্রে জানা যায় চলমান এ বৃষ্টি আগামি শুক্রবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।দু দেশের স্যাটেলাইট বিশ্লেষণ করে এমন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। বৃষ্টি শুধু বাংলাদেশেই নয় পুরো ভারত জুড়েও চলবে। ফলে আগামি কয়েক দিনের বর্ষণে বাংলাদেশের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে পারে।

এদিকে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপ এর কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও সেই সংলগ্ন বাংলাদেশ এর উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার সৃষ্টি হচ্ছে। সক্রিয় গভীর সঞ্চালনশীল বায়ুর প্রভাবে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

প্রাকৃতিক নানা কারণে সমুদ্রের একটি অঞ্চলে কেন্দ্রাভিমুখী ঝড়ো হাওয়ার অঞ্চল বা লঘুচাপ সৃষ্টি হয়। ক্রমান্বয়ে এ ঝড়ো হাওয়ার অঞ্চলটি শক্তি সঞ্চয় করে (বাতাসের গতি বৃদ্ধি পেয়ে) সুস্পষ্ট লঘুচাপ, নিম্নচাপ, গভীর নিম্নচাপ ও শেষে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়।

আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, বাতাসের গতি ১৭ কিলোমিটার থেকে ৪০ কিলোমিটার হলে তা লঘুচাপ। নিম্নচাপ হচ্ছে একটি ঝড়ো হাওয়ার অঞ্চল, যেখানে বাতাসের গতিবেগ থাকে ৪১ থেকে ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে। গভীর নিম্নচাপের ক্ষেত্রে বাতাসের গতিবেগ ৫১ থেকে ৬১ কিলোমিটারের মধ্যে থাকে।
কোনো ঝড়ো হাওয়ার অঞ্চলে বাতাসের গতিবেগ ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটারের মধ্যে হলে তাকে বলে ঘূর্ণিঝড়।

Comments