তফসিল না পেছানো, ইভিএম বাদ এবং সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি যুক্তফ্রন্টের

প্রকাশিত: ১০:৩৪ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৬, ২০১৮

একুশনিউজ: ইসিকে তফসিল না পেছানোর আহ্বান জানিয়েছে,বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন জোট ‘যুক্তফ্রন্ট’।

‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট’ এদিন আগে ইসি বৈঠকে তফসিল ঘোষণা না করার অনুরোধ জানানোর একদিন পর যুক্তফ্রন্ট বিপরীত দাবি জানালো।

বিকল্প ধারা মহাসচিব আবদুল মান্নানের নেতৃত্বে যুক্তফ্রন্টের ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দল নির্বাচন ভবনে সিইসি কে এম নূরুল হুদাসহ নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক করে এ আহ্বান জানায়0।

দেড় ঘণ্টার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মান্নান বলেন, জাতি অধীর আগ্রহে নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে। আমরা চাই না, কোনো কারণে নির্বাচন বিলম্ব হোক।

যুক্তফ্রন্টের পক্ষ থেকে ইসিকে বলা হয়েছে, নির্বাচন তফসিল অকারণে বিলম্ব হলে জাতির মধ্যে সংশয়, বিভ্রান্তি ও হতাশার সৃষ্টি হবে, যা কোনোক্রমেই কাম্য নয়।

বিকল্প ধারার সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর ফারুক বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠান নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক ও নৈতিক দায়িত্ব। আমরা বলেছি, সরকার কিংবা অন্য কোনো চাপে যাতে তারা নতি স্বীকার না করেন। তারা যেন সংবিধান অনুযায়ী তাদের ক্ষমতা প্রয়োগ করেন।

বিকল্প ধারার মহাসচিব মান্নান বলেন, সিইসি তাদের জানিয়েছেন যে তফসিল পেছানোর কোনো সম্ভাবনা নেই।

যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত কর্মচারীদের নির্বাচন কমিশনের অধীনস্থ করার দাবিও জানিয়েছে।

তারা বলেছে, তফসিল ঘোষণার পর এমপিরা সংশ্লিষ্ট এলাকায় কোনো প্রকল্প উদ্বোধন বা প্রতিশ্রুতি যাতে না দিতে পারে, সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

একাদশ সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার না করতেও ইসির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তফ্রন্ট।

মান্নান বলেন, ইভিএম সম্পর্কে আমরা পরিষ্কার ভাষায় বলেছি, কয়েকটি কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করবেন কেন? অল্প কয়েকটি কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করে নির্বাচনকে কেন প্রশ্নবিদ্ধ করবেন? আমরা ইভিএম ব্যবহার না করার জন্য বলেছি। রাষ্ট্রপতিকেও আমরা বলবো, যাতে ইভিএম ব্যবহার করা না হয়।

নির্বাচনে সেনা মোতায়েন যেন কার্যকর হয়, তা নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তফ্রন্ট।

সাবেক সেনা কর্মকর্তা মান্নান বলেন, “আপনারা (ইসি) সেনাবাহিনীকে পুলিশিং জব দেন। চারজন-পাঁচজন সেনা সদস্য প্রতি কেন্দ্রে দেওয়া যায় কি না, সে ব্যবস্থা করেন। আমরা বলেছি, পুলিশ, র‌্যাব সবই থাকে। কিন্ত সেনাবাহিনীর প্রতি যে আস্থা জনগণের আছে,তা রাখতে দেন।

ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা না দিলেও সেনা মোতায়েনের ফলে ভোটারদের মনে যেন আস্থার সঞ্চার হয়, তাদের ভয় কেট কেটে যায়, সেই ব্যবস্থা নিতে ইসির প্রতি আহ্বান জানানো হয় বলে জানান বিকল্প ধারার সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর ফারুক।

মান্নান বলেন, নির্বাচন কমিশন আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে তারা সংবিধান অনুযায়ী চেষ্টা করবেন যেন নির্বাচন সুষ্ঠু হয়। জাতি তাকিয়ে আছে তাদের দিকে। তারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করে ইতিহাস তৈরি করতে চায়।

সিইসি আমাদের জানিয়েছেন, জাতি যেন হতাশ না হয়, সেভাবেই কাজ করবে নির্বাচন কমিশন।

/আরএ

Comments