ট্রাম্প-কিম বৈঠক; ফলাফল কী ?

প্রকাশিত: ১১:২৪ অপরাহ্ণ, জুন ১৩, ২০১৮

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আমরা একটি ঐতিহাসিক বৈঠক সম্পন্ন করেছি এবং একটি ঐতিহাসিক নথিতে সাক্ষর করেছি। বিশ্ব একটি বড় পরিবর্তন দেখতে চলেছে। সিঙ্গাপুরের কাপেলা হোটেলে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর একটি নথিতে স্বাক্ষরের সময় অনুবাদকের মাধ্যমে এ কথা বলেন উত্তর কোরিয়ার প্রধান নেতা কিম জং উন।

আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং উত্তর কোরিয়ার প্রধান নেতা কিম জং উন একটি যৌথ চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। তবে এই চুক্তির বিস্তারিত এখনও জানা যায়নি।

পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি; বৈঠকে ট্রাম্প-কিম

ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, তারা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি নথি স্বাক্ষর করেছেন। তিনি চুক্তির পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এই চুক্তির বিস্তারিত জানানো হবে।

কিম জং উন জানান, এই বৈঠকের জন্য তিনি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শ্রদ্ধা জানাতে চান।

এর আগে মঙ্গলবার দিনটা ঐতিহাসিক করমর্দনের মধ্য দিয়ে শুরু করেন দুই নেতা। ক্যাপেলা হোটেলের আঙিনায় প্রথমবারের মতো ১২ সেকেন্ড ধরে করমর্দন করেন।

প্রায় ৪৫ মিনিট দুজন একান্ত বৈঠক করেন। এ সময় দুজনের পক্ষে অনুবাদক ছাড়া আর কেউ ছিলেন না। এরপর তাঁরা দুজন পৃথক ঘরে চলে যান। এরপর দুই দেশের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দ্বিপক্ষীয় আলোচনা হয়।

শীর্ষ কর্মকর্তাদের বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও, চিফ অব স্টাফ জন কেলি, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব সারাহ স্যান্ডার্স, ফিলিপাইনে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত সুং কিম, জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের এশিয়া অঞ্চলের জ্যেষ্ঠ পরিচালক ম্যাট পটিংগার ও উপস্থিত ছিলেন।

উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রি ওং হো, কোরিয়ার ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান রি সু ওং বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন দেশটির শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তারাও।

এই কিছুদিন আগেও পরস্পরকে হুমকি ধামকি দিয়েছিলেন ট্রাম্প-কিম। তীর্যক মন্তব্যে একে অপরকে ঘায়েল করতে চেয়েছিলেন। তারপর নমনীয় হয়ে আলোচনায় বসতে রাজি হন তারা। গত ২৪ মে হঠাৎ করেই বৈঠক বাতিল করেন ট্রাম্প। পরে দুই পক্ষের কর্মকর্তারা আলোচনা করে আবার দুই নেতাকে আলোচনার টেবিলে ফিরিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে শেষ হলো বৈঠক। ‘সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ’- এটিই হয়তো আজকের বৈঠকের সবচেয়ে বড় অগ্রগতি।

#এএইচ

Comments