জনগণের আস্থা ফেরাতে কমিশনের দায়িত্ব ও স্বচ্ছতা দৃশ্যমান হতে হবে: সুজন

প্রকাশিত: ৮:৪১ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৬, ২০১৮

ডেস্ক: নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে। জনগণের আস্থা ফেরাতে কমিশনের দায়িত্ব ও স্বচ্ছতা দৃশ্যমান হতে হবে। সবাইকে এক নজরে দেখতে হবে।

আর নির্বাচনে অংশ নেয়া রাজনৈতিক দলগুলেকেও দল ও দেশ পরিচালনায় তাদের ভূমিকা কী হবে তা নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লেখ করতে হবে। খবর জাগো নিউজ।

জাতীয় প্রেস ক্লাবে বৃহস্পতিবার ‘নির্বাচনী ইশতেহার: নাগরিক প্রত্যাশা’শীর্ষক আলোচনা ও সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ‘সুশাসনের জন্য নাগরিক’(সুজন) নেতারা

সুজনের সভাপতি এম হাফিজ উদ্দিন খান বলেন, যেসব আইন-কানুন রয়েছে তা যদি বাস্তবায়ন করা যায়, তাহলে আশা করা যায় সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত, তারা যে ইশতেহার ঘোষণা করবে ক্ষমতায় যাওয়ার পর তা যেন বাস্তবায়ন করা হয়। ক্ষমতায় যাওয়ার পর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তারা তাদের অঙ্গীকার অধিকাংশই বাস্তবায়ন করে না।

নির্বাচনী ইশতেহার বিষয়ে সুজনের লিখিত সুপারিশ উত্থাপন করে সংগঠনটির সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সরকার ও দেশ পরিচালনায় জনগণের মালিকানা নিশ্চিত করতে হবে।

রাজনৈতিক দলগুলোর ইতিহাস ও দল পরিচালনায় তাদের কার কী ভূমিকা তা তুলে ধরতে হবে। জনগণের অধিকার আদায়ে রাজনৈতিক দলগুলোর অর্জন তুলে ধরতে হবে।

প্রয়োজনীয় নির্বাচনী সংস্কারের রূপরেখা দিতে হবে, নির্বাচনে প্রার্থীর যোগ্যতা-অযোগ্যতা, হলফনামার সংস্কার, হলফনামা যাচাই-বাছাই, নির্বাচনী ব্যয়ে স্বচ্ছতা এবং না ভোটের বিধান থাকাও উচিত।

শাসন ব্যবস্থার একচ্ছত্র প্রাধান্যের অবসান করতে হবে। সাংবিধানিক সংস্কার, মেয়াদের সীমা নির্ধারণ, দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট সংসদ, গণভোট, রিকল ব্যবস্থা, ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও ধর্মনিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে হবে’ বলেন সুজন সম্পাদক।

এ সময় সুজন নির্বাহী সদস্য, কলামিস্ট ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, সরকারি দলের লোকজন যেভাবে নির্বাচন কমিশনের প্রশংসা করছেন তাতে মনে হচ্ছে সরকারি দলের লোকজন নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগে নেমেছেন।

এ অবস্থায় জনগণের আস্থা ফেরাতে হলে তাদেরই প্রমাণ করতে হবে তারা দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম, স্বচ্ছ নির্বাচন করতে পারবে। নির্বাচন কমিশনকে তাদের স্বচ্ছতা ও দায়িত্ব দৃশ্যমান করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বেলার সভাপতি সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার প্রমুখ।

/আরএ

Comments