গাজীপুরের পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদকে প্রত্যাহারের দাবি খন্দকার মোশাররফের

প্রকাশিত: ৯:২৪ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৯, ২০১৮

একুশ ডেস্ক: গাজীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, গাজীপুরের পুলিশ সুপার প্রশ্নবিদ্ধ ও বিতর্কিত।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বিগত স্থানীয় সরকার নির্বাচনে একটি দলের পক্ষপাতিত্ব করার অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় এই এসপিকে (হারুন অর রশীদ) ওই নির্বাচনের সময় সাময়িকভাবে গাজীপুর থেকে প্রত্যাহার করেছিল নির্বাচন কমিশন।

আজ রোববার টঙ্গীতে বিএনপির কার্যালয়ে নির্বাচন নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন। গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মেয়র পদপ্রার্থীর প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে মেয়র পদপ্রার্থী মো. হাসান উদ্দিন সরকার, জেলা বিএনপির সভাপতি এ কে এম ফজলুল হক মিলন এবং সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য ও মেয়র প্রার্থীর মিডিয়া সেলের প্রধান সমন্বয়কারী মো. মাজহারুল আলমসহ স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, এবার সিটি নির্বাচনে মিথ্যা অপবাদে পুলিশ গত ২৭এপ্রিল আমাদের সমর্থনে মেয়র প্রার্থিতা প্রত্যাহার করায় মহানগর জামায়াতের আমির মো. সানাউল্লাহসহ ৪৫ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে। যে সদিচ্ছা নিয়ে আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি, নির্বাচনের প্রথম থেকেই তারা আমাদের প্রত্যাশাকে, আমাদের আশাকে ভঙ্গ করেছে।

গ্রেপ্তারকৃতদের দ্রুত মুক্তি দাবি করে খন্দকার মোশাররফ হোসেন আরো বলেন, ‘গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনী এলাকায় আমাদের কর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে। বাড়িতে পুলিশ গিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের অযথা হয়রানি করছে। পুলিশ প্রশাসন এখন থেকেই আমাদের নেতা-কর্মীদের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে একটা কৌশল অবলম্বন করছে। তাতে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার তথা নির্বাচন কমিশনকে এর জন্য অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে এবং প্রশাসনকে এখানে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার জন্য নির্দেশ দিতে হবে, আর যারা নিরপেক্ষভাবে দায়িত্বপালন করছেন না তাদের অনতিবিলম্বে এ নির্বাচনী এলাকার দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করতে হবে।

মোশাররফ বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে অনুষ্ঠিত হচ্ছে সিটি নির্বাচন উল্লেখ্য করে তিনি বলেন এ সিটি করপোরেশন নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জাতীয় নির্বাচন কী ধরনের হবে তার ইঙ্গিত বহন করবে এ সিটি নির্বাচন।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গাজীপুর ও খুলনা সিটি নির্বাচন হলো বর্তমান নির্বাচন কমিশন ও সরকারের জন্য একটা অগ্নিপরীক্ষা। সিটি নির্বাচন যদি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ না হয়, তাহলে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ সরকার, এই নির্বাচন কমিশন, এই প্রশাসন, কী করবে তা জনগণের কাছে পরিষ্কার হয়ে যাবে।

/এমএম

Comments