গণতন্ত্রকে বিকশিত করতে গণমাধ্যমের ভূমিকা অপরিসীম : তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ৯:৩০ অপরাহ্ণ, জুলাই ১২, ২০১৮

নিজস্ব প্রতিবেদক  : বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি) এবং একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রামের যৌথ উদ্যোগে ১২ জুলাই বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো অনলাইনের সাংবাদিকতা শেখার ই-লার্নিং কার্যক্রমে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সনদ প্রদান অনুষ্ঠান রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনীয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় তথ্যমন্ত্রী জনাব হাসানুল হক ইনু এমপি। সমকাল সম্পাদক ও পিআইবি পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ার অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পিআইবি মহাপরিচালক মো. শাহ আলমগীর, একসেস টু ইনফরমেশন প্রোগ্রামের পলিসি স্পেশালিস্ট আফজাল হোসেন সারওয়ার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক জনাব মফিজুর রহমান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এমপি বলেন, অনলাইনে চার মাস ধরে সাংবাদিকতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেয়া যে সম্ভব, তা আমাকে মুগ্ধ করেছে। অনলাইনে সাংবাদিকতা শিক্ষা সরবরাহের জন্য পিআইবি ও এটুআই প্রোগ্রামের এ প্রচেষ্টা অভাবনীয়। এর ফলে সাংবাদিকতা শিল্পে দক্ষ কর্মীর সংখ্যা বাড়বে।

এছাড়া দেশের অসংখ্য তরুণ এ ধরণের কোর্সে অংশগ্রহনের মধ্যে দিয়ে নিজেদের দক্ষতা বাড়াতে পারবেন। গনতন্ত্র, জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা বৃদ্ধিতে গণমাধ্যমকর্মীদের ভূমিকা সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি জানান, গণমাধ্যম রাষ্ট্র ও সমাজের প্রহরী হিসেবে কাজ করে। গণতন্ত্র ও গণমাধ্যম হাতের এপিঠ ওপিঠ। গণতন্ত্রকে বিকশিত করতে গণমাধ্যমের ভূমিকা অপরিসীম। এছাড়া তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে সমগ্র সমাজটি একটি ঝকঝকে কাচের ঘরে রুপান্তরিত হচ্ছে, যা রাষ্ট্রের স্বচ্ছতাকে নিশ্চিত করছে।

সমকাল সম্পাদক ও পিআইবি পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ার সভাপ্রধানের বক্তব্যে বলেন, সাংবাদিকদের ঝুঁকি বীমা করা দরকার। গণমাধ্যমকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা দেশ ও সমাজের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। অনলাইনে সাংবাদিকতা শিক্ষাকে গুরুত্বপূর্ণ অবিহিত করেন, অনলাইনের মাধ্যমে প্রতন্ত অঞ্চলে সাংবাদিকতার জ্ঞান বিকশিত করার মাধ্যমে দেশের সাংবাদিকতা শিল্প এগিয়ে যাবে। সমৃদ্ধ হবে।

স্বাগত বক্তব্যে পিআইবি মাহপরিচালক মো. শাহ আলমগীর বলেন, দেশে সাংবাদিকতাবিষয়ক প্রশিক্ষণের যে চাহিদা, তা পুরণ করতে হলে অনলাইনে প্রশিক্ষণ সেবা সরবরাহের বিকল্প নেই। পিআইবি এ বিষয়টি বিবেচনা করে সাংবাদিকদের জন্য ই-লার্নিং প্লাটফর্ম তৈরি করেছে। হলুদ সাংবাদিকতার চর্চা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে সাংবাদিকতা বিষয়ক প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই।

অনলাইনে সাংবাদিকতার বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়ার মাধ্যমে গণমাধ্যমকর্মী তৈরি হবে, যা আমাদেরকে সমৃদ্ধ বাংলাদেশের পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আমার বিশ্বাস। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক মফিজুর রহমান বলেন, আমাদের দেশের গণমাধ্যম সংখ্যায় ও কর্মে যে পরিধি বৃদ্ধি পেয়েছে, সেখানে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের জন্য গণমাধ্যমবিষয়ক প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। এছাড়া কেবল সাংবাদিকই নয়, অনলাইনে এ ধরনের প্রশিক্ষণ সাধারন মানুষের মিডিয়া লিটারেসি বৃদ্ধি করে দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে তৈরি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

এটুআই প্রোগ্রামের পলিসি স্পেশালিস্ট আফজাল হোসেন সারওয়ার উন্নয়নে গণমাধ্যম কর্মীদের ভূমিকা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে জানান, দেশের গণমাধ্যমকর্মীরা দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে। উন্নয়নের গল্প আমরা সাংবাদিকদের মাধ্যমেই জানতে পারি। তাই দেশকে এগিয়ে নিতে সাংবাদিকদের কাজ করতে হবে, দক্ষতা বাড়াতে হবে।

#এএইচ/একুশনিউজ

Comments