খুলনায় শিমু হত্যার দ্রুত বিচারের দাবীতে মানববন্ধন

প্রকাশিত: ১১:১৩ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১০, ২০১৮

শেখ নাসির উদ্দিন, খুলনা প্রতিনিধি: কুয়েট ক্যাম্পাসস্থ উন্মেষ সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী যোগিপোল ৭ নং ওয়ার্ডের জব্বারের বাড়ীর ভাড়াটিয়া ট্রাক ড্রাইভার হালিম হাওলাদারের কন্যা সাদিয়া আক্তার শিমু (৮) কে ধর্ষণ করে নির্মমভাবে হত্যার প্রতিবাদে বুধবার (১০ অক্টোবর) আছরবাদ এলাকাবাসীর উদ্যোগে খুলনা যশোর মহাসড়কের ফুলবাড়ীগেটের বাসস্টান্ডে মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করা হয়।

ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধনে নির্মম এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত নরপশুদের দ্রুত বিচার আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান এলাকাবাসী। মানববন্ধন থেকে বক্তারা খুনিদের আড়াল করতে এবং হত্যার শিকার শিমুর পরিবারকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদানে তিব্র নিন্দা জানান।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন খানজাহান আলী থানা জাতীয় পার্টির আহবায়ক ও বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন আন্দোলনের ভাইস চেয়ারম্যান শেখ আনিছুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খানজাহান আলী থানা শাখার সভাপতি মাওঃ সিরাজুল ইসলাম, সেক্রেটারী মোঃ কামরুজ্জামান, খানজাহান আলী থানা খেলাফত মসলিসের সভাপতি মুফতি আঃ জব্বার, জাপা নেতা কামরুজ্জামান রজব, ইশা ছাত্র আন্দোলন নেতা ফজলুল্লাহ আল মাছুম, আঃ রহিম, ছাত্র নেতা রিফাত, নিহত শিমুর পিতা হালিম হাওলাদার, নানা তোতা শেখ, মামা মাহমুদ শেখ, মা আখি বেগম। মানববন্ধনে এলাকার বিভিন্নস্তরের মানুষ অংশগ্রহন করেন।

উল্লেখ্য সাদিয়া আক্তার শিমু (৮) দৌলতপুর থানাধীন রেলিগেট সাহেবপাড়া এলাকায় সাদিয়ার মামার বন্ধু সাদ্দামের বাসায় বেড়াতে গেলে ২ অক্টোবর ধর্ষণ করে নির্মমভাবে তাকে হত্যা করা হয়।

পরে প্রভাবশালী একটি মহলের যোগসাজসে শিমুর মৃত্যুকে পানিতে ডুবে অপমৃত্যু বলে চালিয়ে দিয়ে থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়।

পরবর্তিতে সানজিদা আক্তার শিমুর মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য বেরিয়ে আসলে তার নানা তোতা মিয়া বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় ধর্ষণ করে হত্যার অভিযোগ এনে সাদ্দামের শালা মোঃ হাবিবুর রহমান (২০) এবং মহেশরপাশা সাহেবপাড়ার সাদ্দামের স্ত্রী শারমিনকে আসামী করে মামলা দায়ের করে। মামলা নং ১০, তাং ৬/১০/১৮।

/আরএ

Comments