কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে হাতপাখা পেলেন আলমগীর হোসাইন তালুকদার

প্রকাশিত: ১০:৫৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৮, ২০১৮

আশরাফ আলী সোহান, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি: জাতীয় সংসদ নির্বাচন আসন্ন। প্রায় সকল রাজনৈতিক দল তাদের নেতাকর্মীদের কাছে মনোনয়নপত্র বিক্রি করছে এবং বাছাই এর মাধ্যমে সারাদেশে আসনগুলোতে প্রার্থী মনোনয়ন দিচ্ছে।

আওয়ামী লীগ-বিএনপি যদিও সর্ববৃহত রাজনৈতিক দল তবে জোট মহাজোটের কারণে কোনো দলই সারাদেশে ৩০০ আসনে এককভাবে তাদের প্রার্থী দিতে পারছে না।

এ দিকে থেকে পীর সাহেব চরমোনাই এর রাজনৈতিক দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ব্যতিক্রম।

১৭ নভেম্বর দলীয় কার্যালয়ে পীর সাহেব চরমোনাই সারাদেশ ৩০০ আসনে বাছাইকৃত ব্যক্তিদের মনোনয়ন ঘোষণা করেন।

কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতি আসনে ৩ জন করে প্রাথমিক বাছাই এর পর চূড়ান্তভাবে ১ জনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।

এছাড়াও মনোনয়ন বাণিজ্য নামে যে কাগজ কেনাবেচা হচ্ছে তা থেকে এই মনোনয়ন প্রক্রিয়া ছিল সম্পূর্ণ আলাদা।

মোটকথা কোনো রকম টাকা পয়সার লেনদেন ছাড়াই প্রার্থীদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে ইসলামী আন্দোলনের পক্ষ হতে।

এরই ধারাবাহিকতায় কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসন একটি প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ণ আসন। যেখানে শুধু মাত্র নিয়ামতপুর নামক এক ইউনিয়ন থেকে সর্বশেষ তথ্যমতে ৬ জন মনোনয়ন পত্র কিনেছে।

এছাড়া এখানে লড়বেন বর্তমান শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী উসমান ফারুক সহ হেভিওয়েট বেশ ডজনখানে নেতাকর্মী।

এই আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে হাফেজ মাওলানা আলমগীর হোসাইন তালুকদারকে।

কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ থানার নিয়ামতপুর ইউনিয়নের হাজী বাড়ীর বাসিন্দা এই প্রার্থী। লেখাপড়ার দিক থেকে হাফেজ, মাওলানা এবং মাস্টার্স শেষে করেছে দারুল ইহসান ইউনিভার্সিটি থেকে।

বর্তমানে একটি কলেজের প্রভাষক হিসেবে কর্মরত আছেন আলমগীর হোসাইন তালুকদার।

রাজনৈতিক জীবনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ছাত্র সংগঠন ইশা ছাত্র আন্দোলনের দুই দুই বার সেক্রেটারী জেনারেল ছিলেন এবং সর্বশেষ কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি।

বর্তমানে জাতীয় শিক্ষক ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সহ- সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতির দায়িত্বে আছেন।

আলমগীর হোসাইন তালুকদারের সাথে তার নির্বাচনী অবস্থার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন আমরা রাজনৈতিক অঙ্গনে আমূল পরিবর্তনের অঙ্গিকার নিয়ে মাঠে ময়দানে ইসলামকে বিজয়ী করার লক্ষে দাওয়াত দিয়ে যাচ্ছি।

এদেশের মানুষ বারংবার নেতার পরিবর্তন দেখেছে কিন্তু তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। ভাগ্যের পরিবর্তন চাইলে অবশ্যই নীতির পরিবর্তন করা লাগবে। আর ইসলামই একমাত্র শান্তিময় সমাজ গঠনের একমাত্র নীতি।

তিনি বলেন, ভোটের রাজনীতিতে আমাদের ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। গত সিটি নির্বাচনগুলোতে আমরা উল্লেখ্যযোগ্য ভোট পেয়েছি।

আমরা আশা রাখি আমজনতার ভাগ্যের পরিবর্তনের লক্ষ্যে জনগণ আমাদের বিজয়ী করবে ইনশাআল্লাহ। সর্বশেষে বলা যায় কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে নির্বাচনে লড়াই হবে সবথেকে বেশি।

/আরএ

Comments