কওমি সনদের নিচের স্তরের স্বীকৃতি থাকছে ‘ঐক্যফ্রন্ট’র ইশতেহারে

প্রকাশিত: ৯:১৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৯, ২০১৮

একুশ ডেস্ক: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে নির্বাচনী ইশতেহার তৈরির কাজ করছে ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট’। নির্বাচনী ইশতেহারে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চিকিৎকাসায় দেয়া হবে বিশেষ গুরুত্ব।

ইশতেহারে থাকছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ঘোষিত ভিশন ২০৩০-এ একটি ধারণা। এ লক্ষ্যে একটি কমিটি প্রণয়ন করা হয়েছে।

বিএনপি থেকে সিনিয়র সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ, গণফোরামের আওম শফিক উল্লাহ, জেএসডির শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ইকবাল সিদ্দিকী, নাগরিক ঐক্যের ডা. জাহেদ উর রহমানের সমন্বয়ে করা হয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহার প্রণয়ন কমিটি।

আর এ কমিটির মূল দায়িত্বে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

মূলত এ কমিটি গঠনের অনেক আগেই ইশতেহার নিয়ে কাজ করছেন বিএনপির কয়েকজন সিনিয়র নেতাসহ শিক্ষা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, কৃষিসহ গুরুত্বপূর্ণ খাতের বিশেষজ্ঞরা। নেয়া হয় সুশীল সমাজের মতামতও।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে গঠিত কমিটির কাছে বিএনপির এ খসড়া ইশতেহারই দেয়া হবে। যেখানে সংযোজন-বিয়োজন করে ফ্রন্ট নেতারা ইশতেহার চূড়ান্ত করবেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে জানা যায়, সম্প্রতি কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিসের সনদকে মাস্টার্সের সমমান সনদ দেয়া হয়েছে। যা দিয়ে সরকারি চাকরি করা যাবে না।

কেননা, চাকরিতে অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্নাতক সনদ চাওয়া হয়। এজন্য স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য বজায় রেখে কওমি সনদকে সব ধরনের চাকরির উপযুক্ত করতে নিচের স্তরের সনদের সমমানের স্বীকৃতি দেয়া হবে।

এছাড়াও শিক্ষা ক্ষেত্রে কোনো বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকবে না। পর্যায়ক্রমে সব সরকারি করা হবে।

বেসরকারি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকদের চাকরি পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণ করা হবে। শিক্ষক নিয়োগে শতভাগ মেধা অনুসরণ করা হবে।

চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫; এর সঙ্গে মিল রেখে অবসরের বয়স বাড়ানো, কোটার যৌক্তিকীকরণ হবে। মুক্তিযোদ্ধাসহ সব কোটা বাস্তবতা অনুযায়ী যৌক্তিক হারে পুনর্বহাল, চাকরিতে মেধাই একমাত্র মানদণ্ড।

চাকরিতে আবেদনের ফি বা পে অর্ডার থাকবে না, কার্যকর করা হবে যানবাহনে বা গণপরিবহনে স্টুডেন্ট হাফভাড়া ও সুলভ মূল্যে ইন্টারনেট।

তরুণদের সৃজনশীল করে গড়ে তুলতে প্রত্যেক উপজেলায় সমৃদ্ধ পাবলিক লাইব্রেরি স্থাপন করা হবে।

এছাড়াও স্বাস্থ্য, কৃষি, পররাষ্ট্রনীতিসহ সরকারের প্রতিটি সেক্টর সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে ইশতেহারে। ‘স্মার্ট শহর’ নামে একটি অঙ্গীকার থাকবে ইশতেহারে।

স্মার্ট শহরের মূল লক্ষ্য হচ্ছে জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করা, যাতে করে মানুষ আরও শান্তিপূর্ণ জীবনযাপন করতে পারেন।

/আরএ

Comments