ইউএস-বাংলা আর কতো?

প্রকাশিত: ২:৩৭ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৬, ২০১৮

বশির ইবনে জাফর

বিভৎস ও বেদনাদায়ক স্মৃতি ভেসে আসে আজও নেপাল ত্রিভূবন বিমানবন্দরে ইউএস বাংলার সেই বিমান দুর্ঘটনার কথা স্বরণ হলে। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ফ্লাইট ২১১ বাংলাদেশের ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইউএস-বাংলা বিমানের একটি আন্তর্জাতিক যাত্রীবাহী ফ্লাইট হিসেবে নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভূবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাওয়ার কথা ছিলো। ১২ মার্চ ২০১৮ সালে স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে (ইউটিসি +৫:৪৫) একটি বম্বার্ডিয়ার ড্যাশ ৮ কিউ৪০০ উড়োজাহাজে করে ফ্লাইটটি চালানোর সময় তা নেপালে অবতরণ করার সময় বিধ্বস্ত হয়। উড়োজাহাজটিতে মোট ৭১ জন আরোহী ছিল। যার মধ্যে ৫১ জন নিহত হয় ও ২০ জনকে জীবিত উদ্ধার হয়। প্রাথমিক কারণ হিসেবে বিমানটি গুরুতরভাবে আগুনের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলেই উইকিপিডিয়ায় রেকর্ডভূক্তি রয়েছে।

এই যে এতোজন লোক মারা গেলো সেদিন। অথচ তার ক্ষত মুছতে না মুছতেই দিন দুয়েক পর পর যান্ত্রিক ত্রুটিতে পরে অল্পের জন্য মৃত্যুর হাত বেঁচে যাচ্ছে ইউএস বাংলার শত শত যাত্রী।

গেল মাসের ২৬ তারিখ ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট ১৭১ জন যাত্রী নিয়ে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে। এতে কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। মূলত পাইলটের দক্ষতায় সে যাত্রায় বেঁচে যান ১৭১ জন যাত্রী। তার দশ দিনও গত হতে না হতেই ফের ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমানে যান্ত্রিক ক্রটির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার কক্সবাজার বিমানবন্দরে দুপুর আড়াইটায় ঢাকাগামী ওই এয়ারলাইন্সের একটি বিমান যান্ত্রিক ত্রুটিতে বিকল হয়ে পড়ে। এরপর বিকেল ৫টায় মেরামত করে ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে কক্সবাজার বিমানবন্দর ত্যাগ করে। কক্সবাজার বিমান বন্দরের ব্যবস্থাপক একেএম সাইদুজ্জামান গণমাধ্যমকে  বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তার ভাষ্যমতে, ইউএস বাংলার ১৪২ নম্বর ফ্লাইটটি দেড়টার দিকে কক্সবাজার বিমান বন্দরে পৌঁছে।এরপর দুপুর আড়াইটায় ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। পরে ঢাকা থেকে একদল ইঞ্জিনিয়ার এসে বিমানটির ত্রুটি মেরামত করে। পরে বিকেল ৫টার দিকে ১১৫ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে কক্সবাজার থেকে বিমানটি ছেড়ে যায়।

সাম্প্রতিক সময়ে শুধুমাত্র ইউএস বাংলার বিমানগুলোই কেন এমন হচ্ছে? সংশ্লিষ্ট মহল কি এসব নিয়ে একবারও ভেবেছে? কিংবা কয়টা মিডিয়ায়ই বা বিষয়টি এভাবে লেখা হয়েছে? প্রথমবারের প্রাণহানি খোদা না করুক পুনরায় সংগঠিত হলে এর দায়ভার কে নিবে?

লেখক- সাংবাদিক, কলামিস্ট

অারও পড়ুন- রোহিঙ্গারা কি আর ফিরে যাবে না?

টিকেএইচ/

Comments