আমিনবাজারে ছয় ছাত্র হত্যার বিচার শেষ হয়নি সাত বছরেও!

প্রকাশিত: ৭:৫৬ অপরাহ্ণ, মে ১, ২০১৮

একুশ নিউজ: সাভারের আমিনবাজারে ডাকাত সন্দেহে ছয় ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যার মামলা সাত বছর পার হলেও শেষ হয়নি বিচার। মামলাটি বর্তমানে ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন।

তবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শাকিলা জিয়াসমিন মিতু গণমাধ্যমকে জানান, এ মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা ছাড়া বাকি সবার সাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছে। এখন মামলাটি দ্রুত এগোচ্ছে।

শাকিলা জিয়াসমিন বলেন, মামলাটি তিনজন তদন্ত করেছেন। এখন শুধু তাঁদের সাক্ষ্য গ্রহণ বাকি রয়েছে। আগামী ধার্য তারিখে তদন্ত কর্মকর্তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে। তদন্ত কর্মকর্তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ হলেই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ কার্যক্রম শেষ করা হবে।

এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ১৭ জুলাই শবেবরাতের রাতে সাভারের আমিনবাজারের বড়দেশী গ্রামের কেবলাচরে ডাকাত সন্দেহে ছয় ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

নিহতরা হলেন, ধানমণ্ডির ম্যাপললিফ স্কুলের ‘এ’ লেভেলের ছাত্র শামস রহিম শাম্মাম, মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ইব্রাহিম খলিল, বাঙলা কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তৌহিদুর রহমান পলাশ, তেজগাঁও কলেজের ব্যবস্থাপনা প্রথম বর্ষের ছাত্র টিপু সুলতান, মিরপুরে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) বিবিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সিতাব জাবীর মুনিব এবং বাঙলা কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র কামরুজ্জামান।

নিহতদের সঙ্গে থাকা বন্ধু আল আমিন গুরুতর আহত হলেও প্রাণে বেঁচে যান।

ওই ঘটনার পর ডাকাতির অভিযোগে আল আমিনসহ নিহতদের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় একটি ডাকাতির মামলা করেন স্থানীয় বালু ব্যবসায়ী আবদুল মালেক।

ওই সময় পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় গ্রামবাসীকে আসামি করে সাভার মডেল থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করে। পরে মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ৭ জানুয়ারি র‌্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ উদ্দিন আহমেদ ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

এ অভিযোগপত্রের পরে মামলাটি বিচারের জন্য এই আদালতে আসলে ২০১৩ সালের ৮ জুলাই ৬০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এ ছাড়া ওই ঘটনায় বেঁচে যাওয়া আল আমিনকে একই ঘটনায় করা ডাকাতি মামলা থেকে সেদিন অব্যাহতি দেওয়া হয়।

হত্যা মামলার আসামিদের মধ্যে ছয়জন পলাতক, একজন কারাগারে, ৫২ জন জামিনে এবং এক আসামি মৃত্যুবরণ করেছেন। এ মামলায় ১৪ আসামি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

/এমএম

Comments