আজ খুলনায় আসছেন নির্বাচন কমিশনার

প্রকাশিত: ১:৩৩ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৫, ২০১৮

শেখ নাসির উদ্দিন,খুলনা প্রতিনিধিঃ
খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সেলসহ বিভিন্ন টিম গঠনে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বিশেষ কোনো মহলের প্রভাব বা হস্তক্ষেপে নির্বাচনের পরিবেশ যাতে বিঘ্নিত না হয় সে বিষয়েও সর্তক থাকতে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্টদের। এছাড়া ব্যক্তি উদ্যোগে ৮ এপ্রিলের মধ্যে প্ল্যাকার্ড, ব্যানার, পোস্টার এবং নির্বাচনী তোরণ না সরালে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে কমিশনের কর্মকর্তারা।

এদিকে কেসিসি নির্বাচন উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার রাতে খুলনায় আসছেন নির্বাচন কমিশনার ড. মোঃ রফিকুল ইসলাম। তিনি শুক্রবার ও শনিবার দু’দিন নির্বাচন অফিসে রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, সহযোগী নির্বাচন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের বিষয়ে দিক নির্দেশনা দিবেন। এছাড়া শনিবার বিকেলে খুলনা সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে বিভাগীয় সমন্বয় সভা করবেন।

গতকাল বুধবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রিটার্নিং অফিসার ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ ইউনুচ আলী।

নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ভোট গ্রহণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে রিটার্নিং কর্মকর্তার নেতৃত্বে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সেল গঠনের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি নিরপেক্ষতা অক্ষুন্ন রাখা, নির্বাচন মনিটরিং টিম, ভিজিল্যান্স ও অবজারভেশন টিম, নির্বাচন মনিটরিং টিম গঠনসহ নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্নের লক্ষে নানা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নির্বাচনী এলাকা থেকে বেআইনি অস্ত্র উদ্ধারসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণেরও তাগিদ ইসির।

‘রিটার্নিং অফিসার ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ ইউনুচ আলী এ প্রতিবেদককে বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সেল গঠন সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা এসেছে। নির্বাচনী এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিন্তকরণে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাসমূহের কর্মকান্ডের সমন্বয় সাধন ও সুসংহত করার লক্ষে এ সেল গঠন করা হবে। এ নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ, র‌্যাব, এক্সিটিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, বিজিবি, আনসার সবাই নিয়োজিত থাকবে।

এদিকে তফসিল ঘোষণার পরপরই নির্বাচনের উত্তাপ খুলনা সিটি কর্পোরেশন এলাকায়। শুরু হয়েছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌড়-ঝাঁপ আর ভোটারদের নানা হিসেব নিকেষ। স্থানীয় ভোটাররা বলছেন, সন্ত্রাস-মাদকমুক্ত সমাজ চাই। সৎ যোগ্য ও জনবান্ধব প্রার্থীদের বেছে নিতে চাই। মশার উপদ্রব আর জলাবদ্ধতার অবসান চাই। রাস্তাঘাট সংস্কার, সড়ক বাতি ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নে সকলের পাশে থেকে কাজ করতে আন্তরিক এমন প্রার্থীকে জনপ্রতিনিধি হিসেবে দেখতে চাই।
এদিকে খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে বিভাগীয় কমিশনারের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের সমন্বয় টিম গঠন করেছে কমিশন।

সূত্র জানায়, কর্পোরেশনের ৩১টি ওয়ার্ডে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মাঝে মনোনয়নপত্র বিতরণের জন্য ১০ জন সহকারী রিটার্নিং অফিসারকে দায়িত্ব বন্টন করে দেয়া হয়েছে। এবারের নির্বাচনে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ৩১টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৪৮ হাজার ৯৮৬ এবং নারী ভোটার ২ লাখ ৪৪ হাজার ১০৭ জন। এ নির্বাচনে সম্ভাব্য ভোট কেন্দ্র ২৮৯টি এবং ভোট কক্ষ ১ হাজার ৪৫৪ নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া অস্থায়ী ভোট কেন্দ্র ৩টি ও অস্থায়ী ভোটকক্ষ ৪৮টি। তবে কেন্দ্র ও ভোট কক্ষের সংখ্যা বাড়তে পারে। এ নির্বাচনে মেয়র, সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলরদের জন্য ৭৩ প্রতীক চূড়ান্ত করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ৩১ মার্চ ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১২ এপ্রিল, বাছাই ১৫-১৮ এপ্রিল, প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষদিন ২৩ এপ্রিল।

Comments