আগামী ৩০ অক্টোবরের পর তফসিল

প্রকাশিত: ১২:৪৭ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৮

স্টাফ রিপোর্টার: আগামী ৩০ অক্টোবরের পর যে কোনো দিন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ লক্ষ্যে তফসিল ঘোষণার ৮০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।

ভোটকেন্দ্রও চূড়ান্ত হওয়ার পাশাপাশি সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণের এবং ভোটার তালিকার সিডি প্রস্তুত করার কাজও শেষ পর্যায়ে। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর ভোটার তালিকার সিডি মাঠ পর্যায়ে পাঠানো হবে। আর আগামী ১০ অক্টোবর থেকে ভোটার তালিকার মুদ্রণের কাজ শুরু হবে।

এদিকে সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের জন্য গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সংশোধনী এনে তা ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। যদিও আরপিও’র কোন কোন ধারায় কি কি সংশোধনী চেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি) তা স্পষ্ট করে বলতে পারছে না কেউই।

সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার বিষয়ে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, আগামী ৩০ অক্টোবরের পর কাউন্টডাউন শুরু হয়ে যাবে। ৩০ অক্টোবরের পর যে কোনো সময় নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা হতে পারে। নির্বাচন কমিশনই এ নিয়ে কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত নেবে।

গতকাল সোমবার আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এসব কথা বলেন।

সংবিধান অনুযায়ী আগামী ৩০ অক্টোবর থেকে ২৮ জানুয়ারির মধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দশম সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারি দশম সংসদের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেই হিসেবে আগামী বছরের ২৮ জানুয়ারির পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

ইসির সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাধারণত তফসিল ঘোষণার পর ৪৫ দিন সময় রেখে সংসদের ভোটের দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হয়। এই হিসাবে নভেম্বরের প্রথমভাগে তফসিল ঘোষণা করে ডিসেম্বরের শেষভাগে ভোট হবে।

আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে ৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ, ১০ কোটি ৪০ লাখের বেশি ভোটারের তালিকার কাজ শেষ হয়েছে। ভোটার তালিকার সিডি করার কাজ শেষ পর্যায়ে। গত ৫ আগস্ট ভোটকেন্দ্রের খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। দাবি আপত্তি শুনানি শেষে ভোটকেন্দ্র নীতিমালা অনুসারে সব ঠিক করে ৬ সেপ্টেম্বর মাঠপর্যায়ে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়। এখন সেগুলো কমিশনে পাঠাবে। তারপর সেগুলো যাচাই-বাছাই করে নির্বাচনের ২৫ দিন আগে ভোটকেন্দ্রের গেজেট প্রকাশ করা হবে। ইতোপূর্বে ইসি সচিব জানিয়েছিলেন, সংসদ নির্বাচনের ভোটের সময় ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ ধরেই সব ধরনের প্রস্তুতি এগিয়ে যাচ্ছে।

ইসি সচিব বলেন, সংসদ নির্বাচনে ৪০ হাজার ভোটকেন্দ্রে প্রায় দুই লাখ ভোটকক্ষ থাকবে। এক্ষেত্রে ৪০ হাজার প্রিজাইডিং অফিসারসহ সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার নিয়ে সাতলাখ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার প্রয়োজন হতে পারে।

/এমএম

Comments