আওয়ামীলিগের বর্ধিতসভায় ছাত্রলীগের হামলা

প্রকাশিত: ৩:৫৬ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ১৬, ২০১৮

যশোর প্রতিনিধি: যশোর কেশবপুরে আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় ছাত্রলীগের একাংশের নেতা খন্দকার আজিজের নেতৃত্বে একদল যুবকের হামলায় বর্ধিত সভা পণ্ড হয়ে যায়। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় এ হামলায় কেশবপুর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভনেত্রী ও সাধারণ সম্পাদকসহ ছয়জন আহত হয়েছেন।

তবে ছাত্রলীগের একাংশের নেতা খন্দকার আজিজ এ হামলার ঘটনা অস্বীকার করেছেন।

তাৎক্ষনিক এক সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাষ্টার রুহুল আমিন অভিযোগ করেন, মহান স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি গ্রহণের জন্য বুধবার বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়। বর্ধিত সভা চলাকালীন সময়ে ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেতা খন্দকার আজিজের নেতৃতে প্রায় এক ডজন বিভিন্ন মামলার আসামিরা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা করে।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, হামলার পর তারা থানায় অভিযোগ করতে গেলে সেখানে ওসির কক্ষে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কৃত খন্দকার আজিজ তার ভাই খন্দকার শরিফুলসহ ১০ থেকে ১২ জন চিহ্নিত যুবক সেখানে উপস্থিত হয়। সেখানে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে হামলা ও মামলা সংক্রান্ত কোনো কথা বলা যায়নি।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী গোলাম মোস্তফা জানান, হামলায় উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী রাবেয়া ইবকাল (৪৮), সাধারণ সম্পাদক মমতাজ খাতুন (৪৫), যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য প্রকৌশলী হাসান আলমগীর (৪৮), উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া (৩৫), প্রচার সম্পাদক কামরুজ্জামান পাশা (৩৭), ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান(২৫) আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে রাবেয়া ইকবাল ও মমতাজ খাতুন কেশবপুর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। অন্যরা ভয়ে গোপনে বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে গাজী গোলাম মোস্তফা বলেন, ১০-১২ সন্ত্রাসী ভয়ে কেশবপুর শহরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ত্যাগী নেতাকর্মী আসতে ভয় পায়।

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

খন্দকার আজিজ ও খন্দকার শরিফুল বলেন, তারা কোনো হামলার সঙ্গে জড়িত নয়।

এ ব্যাপারে কেশবপুর থানায় সদ্য যোগদানকৃত ওসি সৈয়দ আবদুল্লাহ বলেন, আমি উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনেছি। থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ করা হয়নি।

Comments