স্টাফ রিপোর্টার : বর্তমানে প্রায় যুগলকেই দেখা যায় প্রেমে লিপ্ত হতে। আবার সেটা অনেক সময় বিবাহ পর্যন্ত গড়ায়। তবে অনেকের পরিবারই সে ভালোবাসাকে মেনে নেয় না। সেক্ষেত্রে তারা ভালোবাসার বিয়েকেও মানতে নারাজ। এমন অনেক পরিবারের সন্তানেরা পালিয়ে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন।
তবে পালিয়ে বিয়ে করে অনেকেই কিন্তু ভালো থাকে না । কারণ বিয়ের সিদ্ধান্ত নিলেই তো আর সমাধান হয়ে যায় না; একে-অপরে মিলে থাকারও একটি বিষয় আছে। সবার মন-মানষিকতা একরকম নয়। তাই সবার ম্যানেজ করার ক্ষমতাও এক নয়। এজন্য পালিয়ে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে অবশ্যই এই বিষয়গুলো মাথায় রাখুন।
পরিবার ছেড়ে থাকার সিদ্ধান্ত
যে বাবা-মা আপনাকে বড় করেছেন, যে পরিবারের সঙ্গে আপনি বড় হয়েছেন, তাদের ছেড়ে আপনি একা থাকতে পারবেন কিনা সেটার ব্যাপারে সর্ব প্রথম সিদ্ধান্ত নিন। কারণ একবার বের হয়ে গেলে পিছনে ফিরে তাকানোর সুযোগ কিন্তু খুবই কম। তাই সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে দশবার ভাবুন।
ভবিষ্যত জীবন নিয়ে আগেই ভাবুন
ভবিষ্যতে দুজনের মন-মানষিকতা এক থাকবে কিনা সেটা আগেই ভেবে নিন। দাম্পত্য জীবনে অনেক সমস্যা ও দুর্ঘটনার মুখোমুখি হতে হয় মানুষদের। সেই সকল দুর্ঘটনার কথা বাদ দিয়ে সমস্যাগুলোর সমাধানের উপায় ভেবে রেখেছেন কি? কারণ দুর্ঘটনার উপর মানুষের হাত নেই, কিন্তু সমস্যার সমাধান করা সম্ভব, সেটি পারিবারিক-ভাবে হয়ে থাকে। তাই পরিবার ছাড়া কিভাবে করবেন?
আর্থিক অবস্থা
আজকের যুগে ছেলে বা মেয়ে উভয়েরই আর্থিক অবস্থা ভাল হওয়া জরুরি। শিক্ষিত মানুষ মাত্রই নিজের পায়ে দাঁড়াবে। না হলে আত্মমর্যাদার সংকট দেখা দেবেই। অর্থ নির্ধারণ করে সম্মান এবং মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান। তাই বিয়ে করার আগে নিজের আর্থিক অবস্থার কথা ভাবুন। জীবনের স্থিতি নিয়ে তারপর বিয়ের চিন্তা করুন।
পরিবারের অনুমতি নেয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা
যে বাবা মা সন্তানকে জন্ম দিয়ে, লালন-পালন করে বড় করেছেন; সেই বাবা-মা কখনোই সন্তানের অমঙ্গল চান না। তাই আপনার এই বিয়ের ব্যাপারে তাদের অনুমতি না পাওয়ার পেছনে কি আপনার চেষ্টার ত্রুটি রয়েছে, নাকি অন্য বিষয় তা ভেবেছেন কি? যদি চেষ্টার মাধ্যমে অনুমতি পাওয়া, তাহলে সে পথে এগিয়ে যান।
যার জন্য বাবা-মাকে ছাড়ছেন, সে কতটা যোগ্য?
এই প্রশ্নটি আমরা বলবো আপনার জীবনের টার্নিং পয়েন্ট। আপনি যার জন্য সবচেয়ে কাছের মানুষ “বাবা-মা”, আপনার পরিবারকে ছেড়ে চলে যাচ্ছেন তিনি কী আপনার এই ত্যাগের যোগ্য। আবেগ দিয়ে নয় এই প্রশ্নটি বুদ্ধিমত্তা দিয়ে বিবেচনা করুন। যদি পজিটিভ হয় তাহলেই কেবল পছন্দের মানুষটির সাথে যান। অনথ্যায় বাবা-মায়ের সিদ্ধান্তকেই মেনে নিন । জীবনে অফুরন্ত কল্যাণ বয়ে আসবে
/এসআর